পাঁচ দিন ধরে বীজ অঙ্কুরোদগমের আচার-অনুষ্ঠান শেষে ধমসা-মাদলের তালে নাচ ও গানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় উৎসব। পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামে করম পুজো ও করম নাচের উৎসব পালিত হয়ে থাকে। ঝালদার মহকুদর ও গোপালপুর গ্রামেও চলে এই উৎসব। গ্ৰামের কুমারী মেয়েরা ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতির মধ্য দিয়ে অঙ্কুরিত বীজের ডালা নিয়ে পুজোয় অংশ নেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গাগ্রাম মানেই মালার রাজ্য! বিশ্বকর্মা পুজোর আগে তুঙ্গে ব্যস্ততা
এ বিষয়ে ব্রতীরা বলেন, বংশ পরম্পরায় তাঁরা এই উৎসব পালন করে আসছেন। এটা তাঁদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। পাঁচদিন ব্যাপী চলে এই উৎসব। সারাটা বছর তাঁরা এই সময়ের অপেক্ষায় থাকেন।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই ১ কোটি ৮৪ লক্ষ খরচ! আলো ঝলমল হয়ে উঠবে এই শহর
করম উৎসব শুধু যে কৃষি জীবনের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রাচীন আচার নয়, সেটা বোঝাটা আগে দরকার। জীবন-জীবিকা, সুখ-দুঃখ, সংগ্রাম ও ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি এই করম মাস। করম গানে কুমারী মেয়েরা তাঁদের জীবনকথা, আনন্দ-বেদনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা বর্ণনা করেন। করম নাচে ফুটে ওঠে প্রাচীন সভ্যতার চেতনা। যা আজও গ্রামীণ সমাজে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেয়। ছোটনাগপুরের মানুষদের জীবনে সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে এই উৎসব।