তাই রাতে যে সব ট্রেন চলাচল করবে সেগুলি যেন গতি কমিয়ে চলাচল করে। বন দফতর সূত্রে খবর দ্রুত গতিতেই বারবিল-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস চলাচল করছিল। তার ধাক্কাতেই শাবক-সহ হাতির মৃত্যু ঘটেছে। এই ঘটনায় পুনরায় রেল-বন দফতর চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে।
advertisement
বাবা বেঁচে থাকতে কি ছেলে-মেয়ে তাঁর সম্পত্তি দাবি করতে পারে? জানুন ভারতের আইন কী বলছে!
প্রসঙ্গত গত কয়েক মাস ধরে রেল লাইনের ধারে হাতি চলে আসছে এমন খবর জানাচ্ছিলেন রেলের চালক ও গার্ড।
কিছুদিন আগেই রেল লাইনে হাতির প্রসবের কারণে দুই ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলে।ফলে হাতি নিয়ে সমস্যা বাড়ছিল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ২০১৭ সালে মোট হাতি ছিল ১৯৪টি। বর্তমানে ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪টি। অর্থাৎ এই আট বছরে ১৫ শতাংশ হাতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে হাতি আছে ৪৪ টি। আর জেলার নয়াগ্রাম(৩৪) এবং সাঁকরাইল ব্লক(৬৬) মিলে হাতি আছে ১৪৪টি। বাকি ৮০টি হাতি ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন রেঞ্জে। বনদপ্তরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরে প্রায় ১০ শতাংশ করে হাতি বাড়ছে। জানা গিয়েছে, নয়াগ্রাম এবং সাঁকরাইল ব্লকে ১০টির কাছাকাছি পাঁচ বছরের নিচে শাবক রয়েছে। অন্য দিকে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে জঙ্গলে একটি ২০ থেকে ২৫টি হাতির দলে শাবক রয়েছে ছয় থেকে সাতটি। এর মধ্যে তিনটি রয়েছে তিন বছরের কম বয়স। রাজ্য বন দফতর সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তারা রেলের বিরুদ্ধে এফ আই আর করতে চলেছে।