এই নির্বাচনে বাম ও বিজেপি একটি মঞ্চ তৈরি করে একত্রিত হয়ে লড়াই করছে। সূত্রের খবর, ৪৩ টি আসনের মধ্যে ২৭ টি আসনে লড়ছেন বিজেপি ও ১৬ টি আসনে লড়ছে সিপিএম। তৃণমূল দিয়েছে ৪৩ টি আসনেই প্রার্থী। নির্বাচনের আগে একসাথে সিপিএম এবং বিজেপি জোট বেধে মনোনয়নপত্র জমাও দেয়। এমনকি গত ২০ নভেম্বর খারুই- গাঠরা সমবায় বাঁচাও মঞ্চের ব্যানারে একসঙ্গে মিছিলে পা মেলায় বাম বিজেপি নেতারা।
advertisement
আরও পড়ুন: চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা! অভিষেকের নির্দেশে 'পদ' ছাড়লেন মারিশদার তিন 'প্রধান'
অন্যদিকে এই প্রেক্ষাপটে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি ৬ সিপিএম নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারা হলেন শুভাশিস মল্লিক -এরিয়া কমিটির সদস্য কাঁকট্যা, নিমাই বেরা-শাখা সম্পাদক গঠরা, তপন চক্রবর্তী -শাখা সম্পাদক খারুই, সুরেন্দ্রনাথ আচার্য-পার্টি সদস্য, রঘুনাথ ভৌমিক-পার্টি সদস্য, দীনেশ মণ্ডল-অঞ্চল কনভেনার খারুই। এছাড়া আরও দুই নেতাকে শো-কজ করা হয়। এর পরে আজ ভোট হতে দেখা গেল দাঁত ফোটাতে পারল না বাম-বিজেপি জোট। বরং তুমুলভাবে জয় লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ধরাশায়ী 'নন্দকুমার মডেল'? দাঁত ফোটাতে পারল না 'বাম-বিজেপি-কংগ্রেস' জোট!
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার তার পর মহিষাদল। সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাম-বিজেপি জোটে রীতিমতো অস্তত্বিতে পড়ে সিপিএম। যদিও মহিষাদলে জোট হয়েছিল সিপিআই-এর সঙ্গে বিজেপির। তা সত্বেও কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল সিপিএমকেও। তাই নিচুতলায় বাম-বিজেপি জোট ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেয় সিপিএম। তবে ফল প্রকাশ্যে আসতে দেখা যাচ্ছে নন্দকুমার মডেল ছেড়ে তৃণমূলের ভোটবাক্সই ভরালেন ভোটাররা।