বর্ধমানে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের কাছে একটা কথা বলতে চাই যে আমরা ১৬টা বিধানসভায় জয়লাভ করেছি। দুটো লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছি। আগে আমরা একটা লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলাম। পরে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় সেই আসনটাও আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। এখন আমাদের বর্ধমানের ১৬টি আসনে ১৬ জন বিধায়ক, দুটি লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের ২ জন সাংসদ আছেন।’
advertisement
এরপর তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে আছি। আমি তিনবার বিধায়ক হয়েছি সিপিএমের সময়। তখন দেখতাম একটা সামনাসামনি লড়াই। অনেক রক্তক্ষয়, অনেক মানুষের জীবনহানির মধ্যে দিয়ে আমরা কেউ জিতেছি,কেউ হেরেছি। কিন্তু এখন যেন লড়াই আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। তার কারণ তখনকে আমাদের শত্রু তাকে সামনাসামনি দেখতে পেতাম। আর এখন শত্রুদের সামনাসামনি দেখতে পাইনা। প্রকৃতপক্ষে ছায়ার সঙ্গে লড়াই। ছায়ার সঙ্গে লড়াই করাটা কঠিন। সেই জায়গায় আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেটা পেয়েছি যে কোনও মূল্যে আগামী দিনে সেটা ধরে রাখতে হবে।’
বর্ধমান শহর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ বলতে কোন দিকে ইঙ্গিত করছেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের জোরদার প্রচার শুরু হয়ে যাওয়ার আগে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্থিতি এখন খুবই অনুকূল। এক সময়ের লাল দুর্গ পূর্ব বর্ধমান জেলায় সিপিএম এখন অস্তিত্বের সংকটে। বিজেপিও ছন্নছাড়া। তবে কিছু কিছু এলাকায় শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। সে বিষয়েই হয়তো কর্মীদের সতর্ক করেছেন দলের জেলা সভাপতি। তাছাড়া তিনি হয়তো বিরোধীদের দুর্বল ভেবে আত্মতুষ্ট না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।