তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার বাইরে নয়, কালনা পুরসভার অন্দরেও। তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলারের ছোড়া কাপের আঘাতে জখম হলেন আর এক কাউন্সিলার। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে কালনা শহরজুড়ে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিপাকে রোগীর পরিবার, জরিমানা করল স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের
বুধবার দুপুরে কালনা পৌরসভায় বোর্ড মিটিং চলছিল। সেই সময় একটি বিষয় নিয়ে মতের অমিল হয়। তার জেরে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। তখনই কালনা শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে কালনার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ বসু এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসুর বিরুদ্ধে।
advertisement
সুমন বসু কাউন্সিলার রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ লক্ষ করে চিনা মাটির বড় ও ভারি কফি কাপ ছুড়ে মারেন বলে অভিযোগ। তাতেই রবীন্দ্রনাথের দাঁত ভাঙে। মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত ঝরতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: শহরের উড়ালপুল দেখভালের কড়া নির্দেশ মেয়রের, ছোটখাটো সাঁকোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
ঘটনার পর এদিন সন্ধ্যায় কালনা কাটোয়া এসটিকেকে রোডের উপর আগুন জ্বালিয়ে সন্দীপ বসু এবং অনিল বসুর বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসেরই একাংশ। পথ অবরোধও করে তারা।
জানা গিয়েছে, কালনা পৌরসভার কাউন্সিলার তাপস দাসের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঠিক মতো নিকাশি নালা পরিষ্কার হয় না বলে বোর্ড মিটিংয়ে অভিযোগ ওঠে। সেই বিষয় নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বোর্ড মিটিং। তখন সুমন বসু ওরফে অনিল বসু ওই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাসকে চেয়ার ছুড়ে মারতে যান। তার পরেই একের পর এক কাপ ছোড়া শুরু হয়। সেই কাপ গিয়ে লাগে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাঁতে এবং কপালে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর অনিল বসু বলেন, "আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। উনি বয়স্ক মানুষ। আমি ওঁকে যথেষ্ট সম্মান করি।"