'ভেল' উৎসব মূলত শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত তবে এই উৎসব দক্ষিণ ভারতের তামিনাড়ুতেও বিশেষ ভাবে দর্শনীয়। এই উৎসব এক তামিলরীতি বিশেষ। দেব সেনাপতি কার্তিক বা মুুরুগানকে উৎসর্গ করা মন্দিরগুলিতে এই উৎসব বিশেষ ভাবে পালিত হতে দেখা যায়। তামিল জনগোষ্ঠীর অনেকেই হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে রয়েছেন, তারাই বহু বছর আগে বাংলাতেও শুরু করেন এই 'ভেল ভেল' উৎসব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাইবেরিয়া থেকে এবার দার্জিলিং, কে আসছে পাহাড়ে! ঘুরতে গেলে দেখতে ভুলবেন না কিন্তু
'ভেল ভেল' হল একটি তামিল জনগোষ্ঠীর বাৎসরিক উৎসব। প্রাচীনকালে ভেল তামিলদের রাজরাজাদের যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বর্শা কিংবা শূলকে বলা হত। হুগলি জেলার ইতিহাসে এই মেলা শতাব্দী প্রাচীন। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি মেনে প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তির আগে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এই 'ভেল ভেল' উৎসব পালন করা হয়। মূলত তামিল জনগোষ্ঠীর মানুষই এই অভিনব 'ভেল ভেল' উৎসবের সঙ্গে জড়িত থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ফুঁসে উঠবে সমুদ্র, আজ বিকেলেও জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা, পর্যটকদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি
উৎসবের দিন ভক্তরা ব্যান্ডেলের ওলাইচণ্ডী মন্দিরে সকাল জামায়েত শুরু করেন। এই স্থানীয় এলাকার প্রতিটি কোন থেকে মানুষ একটি মিছিল দল গঠন করে ওলাইচন্ডিতলায়, তাদের নিজস্ব শৈলীতে সজ্জিত রথ নিয়ে তাদের দেবতাকে নিয়ে জড়ো হয়। বেলার বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যেমন চড়ক বা গাজন উৎসব হয় অনেকটা সেই ধাঁচেই এই উৎসব।
ব্যান্ডেলের 'ভেল ভেল' উৎসবের ইতিহাস ও কাহিনী, হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পার্বতী তার পুত্র মুুরুগানকে বা কার্তিকএকটি ভেল বা শূল জাতীয় অস্ত্র দান করেছিলেন, যার দ্বারা দুষ্ট আত্মা সুরপদ্যমানকে পরাজিত করতে পারে। মুরুগান ও সুরপদ্যমান-র যুদ্ধে মুরুগান সুরপদ্যমানের সমস্ত মন্দ বাহিনীকে চূর্ণ করার জন্য ভেল ব্যবহার করেছিলেন। 'ভেল' উৎসব মূলত শ্রীলঙ্কায় প্রচলিত তবে এই উৎসব দক্ষিণ ভারতের তামিনাড়ুতেও বিশেষ ভাবে দর্শনীয়। এই উৎসব এক মাদ্রাজি রীতি বিশেষ। মুুরুগানকে উৎসর্গ করা মন্দিরগুলিতে এই উৎসব বিশেষ ভাবে পালিত হতে দেখা যায়।
রাহী হালদার