কাঁকসার রথ তলায় ৭টি মৃৎশিল্পীরা বসবাস। এক সময় মাটির তৈরি পুতুল বিক্রি করে রথের মেলায় ভালই রোজগারের মুখ দেখতোএই শিল্পীরা। বর্তমানে চাহিদা কমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই কাঠের খেলনা বানাচ্ছেন তাঁরা। শিল্পী প্রশান্ত সূত্রধর বলেন, মেলাটি তাঁর বাবার আমল থেকে দেখে আসছেন তখন অনেক জায়গা থাকতো বেশ বড় একটা মেলা হতো। তেলে ভাজা থেকে জিলিপি সব থাকলেও মাটির পুতুলের চাহিদা ছিল বেশ। এখন মাটি সেই ভাবে পাওয়া যায় না । এছাড়াও ছোটদের কাছে মেলার সব থেকে আকর্ষণীয় যেটা ঘাড় নড়া দাদু সেটার দিকে তেমন ঝোঁক নেই তাদের ।
advertisement
তার বদলে প্লাস্টিকের ছোটা ভীম, মটু পাতলু জায়গা করে নিয়েছে। ফলে এই পুতুল আগে যেমন ৫০০টিরও বেশি এক এক জন শিল্পী বানাতেন এখন জনা কয়েক শিল্পী বানান। সরকারিভাবে তেমন কোনও সাহায্যও তেমন নেই যে তারা সেটাকে টিকিয়ে রাখবে। তাই মেলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছেন শুধু কয়েকজন। জায়গা না থাকায় মেলার পরিসরও অনেকটাই কমে গিয়েছে। এক সময় এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও বাইরে থেকে অনেক শিল্পী মাটির তৈরি পুতুল নিয়ে আসতেন এখন তাঁরাও আসেন না। এছাড়াও নতুন প্রজন্ম তেমন ভাবে মাটির পুতুল তৈরিতে আগ্রহ দেখায় না । ফলে আগামী দিনে এই শিল্প কি ভাবে বেঁচে থাকবে সেই নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে শিল্পীদের মধ্যে।