গতকাল রাত দশটা নাগাদ গয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজের নাচের দলের কয়েকজনকে নিয়ে গাড়িতে রওনা দেন সুতন্দ্রা৷ পানাগড়ের কাছে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ধাওয়া করে অন্য একটি গাড়ি৷ অভিযোগ, সেই গাড়ি থেকে পাঁচ জন মদ্যপ যুবক সুতন্দ্রাদের গাড়ি লক্ষ্য করে কটূক্তি এবং অশালীন ইঙ্গিত করতে থাকে৷ একাধিক বার সুতন্দ্রাদের গাড়িতেও ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি৷ শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় সুতন্দ্রাদের গাড়িটি৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর৷
advertisement
এই খবর চন্দননগরের বাড়িতে পৌঁছতেই শোকে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যান সুতন্দ্রার মা৷ বাড়িতে সুতন্দ্রার মা ছাড়াও তাঁর ঠাকুমা এবং দিদিমা থাকতেন৷ মাত্র ৮ মাস আগেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সুতন্দ্রার বাবার মৃত্যু হয়৷ ফলে সুতন্দ্রাই ছিলেন তাঁর মা, ঠাকুমা এবং দিদিমার একমাত্র অবলম্বন৷ সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীও ছিলেন ওই তরুণীই৷
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ভোরে পানাগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুতন্দ্রার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা৷ এই দুঃসংবাদে স্তম্ভিত সুতন্দ্রার প্রতিবেশীরাও৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, ছোট থেকেই নাচে পারদর্শী ছিলেন সুতন্দ্রা৷ পাড়ায় তাঁর ডাকনাম ছিল মামন৷ মামন ডান্স অ্যাকাডেমি নামে নাচের স্কুলও খুলেছিলেন তিনি৷ খুবই হাসিখুশি ছিলেন তিনি৷ বাড়িতে পোষ্য সারমেয় থাকলেও প্রতিদিন নিয়ম করে রাস্তার কুকুরদেরও খাওয়াতেন সুতন্দ্রা৷ বন্ধুদের নিয়েই তিনি একটি নাচের দল তৈরি করেছিলেন৷ সেই দল নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করতে যেতেন সুতন্দ্রা৷