তবুও যে সব পর্যটকরা এসেছিলেন তাতেই যেটুকু ব্যবসা হয়েছিল তাতেই খুশি ছিল বিভিন্ন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউইয়ের কারণে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, সেখানে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বিধিনিষেধের ওপরে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র সরকারি বিধিনিষেধ মেনে খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্র আজও পর্যন্ত সেই নির্দেশ পাইনি বলে জানান বিভিন্ন পর্যটনের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা।
advertisement
ফলে সুন্দরবনের ঝড়খালি পর্যটন কেন্দ্রে প্রায় ৫০-৬০টি দোকান থাকায় তারা ইতিমধ্যে আর্থিক সংকটে ভুগছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, এই পর্যটনকেন্দ্রে সরকারের পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত কোনও নির্দেশ আসেনি খোলার জন্য। ফলে কোনও পর্যটকরা আসছেন না। সুন্দরবনে দোকান বন্ধ থাকায়, দোকানে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে, ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, তেমনই ব্যবসার না চলায় ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ইতিমধ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন সরকারি বিধিনিষেধ মেনে যদি সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়, তবে তাঁরা দু-বেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারে। তবে এই ব্যবসায়ীরা দাবি করেন এই ব্যবসার ওপর তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে আছে।
