উত্তরের সুন্দরবন সীমান্ত জঙ্গল লাগোয়া করিডরে ঢুকতে কড়া ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের। উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর সীমান্ত থেকে হিঙ্গলগঞ্জের শামশেরনগর পর্যন্ত মোট ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে যার মধ্যে জল সীমান্ত রয়েছে ৫০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত ৪৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার জল সীমান্তের নজরদারিতে যোগ দিল বিএসএফ ও কোস্টাল পুলিশ।
advertisement
বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি জঙ্গল লাগোয়া জল সীমান্ত রয়েছে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার।
শীত পড়তে বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়। সেখানে ইতিমধ্যে উৎসবের মরশুমে টুরিস্টদের ওপর জঙ্গলে নদীর খাড়ি অঞ্চলে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই হেমনগর কোস্টাল থানার অধীনে শামশেননগর ঝিঙ্গাখালি-সহ একাধিক যে ফরেস্ট অঞ্চল রয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, সেই জায়গায় যাতে পর্যটকরা না যেতে পারে প্রশাসন সেই জন্য কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে৷ ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাহায্যে জলসিমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা কোনও রকম ভাবে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে৷
পাশাপাশি দক্ষিণের সুন্দরবন এলাকা থেকে অনলাইনে লঞ্চ পারমিট পেলেও উত্তরের সুন্দরবন অর্থাৎ ঝিঙেখালি বিট এলাকায় পর্যটকদের জন্য অনলাইনে কোন পারমিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা জানান, আগে ঝিঙেখালি থেকে সুন্দরবনে যাওয়ার অফলাইন অনুমতি মিলত। পাশাপাশি অফলাইন অনুমতিও দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে বলে সূত্রের খবর।
সব মিলিয়ে পর্যটক থেকে বোট মালিকরা সমস্যায় পড়েছেন।