অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, জামার জন্য যে কাপড় সরকার থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে সেই কাপড় কেটেই তৈরি করা হয়েছে প্যান্ট। বিদ্যালয় এর পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের সংখ্যা ৩৪৭ জন। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায় পঞ্চম শ্রেণী থেকে মেয়েদের জন্য সাদা জামা আর নীল রঙের গাউন ধার্য করা হয়। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর মেয়েদের জন্য সালোয়ার অথবা চুড়িদার দেওয়া হয়ে থাকে।
advertisement
তবে এবার তাদের মধ্যেই প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া পেয়েছে উল্টো পোশাক আর সেটি পড়েই আসছে স্কুলে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ছাত্রীদের জন্য সালোয়ার বানানোর কাপড় দিয়ে কামিজ এবং কামিজ বানানোর কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সালোয়ার। ছেলেদের জামা প্যান্ট নিয়েও হয়েছে বিভ্রান্তি। এছাড়াও উল্টো স্কুলের পোশাক তৈরির পাশাপাশি তারা অভিযোগ করছেন এই পোশাক গুলির গুণগতমান নিয়েও। তারা জানাচ্ছেন অনেক পড়ুয়া বিদ্যালয় থেকে দেওয়া ইউনিফর্ম না পড়ে বাজার থেকে সেই রংয়ের ইউনিফর্ম বানিয়ে তা পরে স্কুলে আসছে।
যদিও এই ঘটনাটি স্বীকার করেন স্কুলের শিক্ষিকা টুয়া মন্ডল। তিনি জানান, এই ঘটনা প্রথম বার নয়, এর আগেও ইউনিফর্ম নিয়ে বিভ্রাট তৈরি হয়েছিল। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিও সমাধান হয়নি বলেও জানান তিনি। স্কুলের ইউনিফর্ম নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্কুলের ছাত্রীরা খুব রয়েছে অভিভাবকদের মনেও, তবুও এর সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ Cristiano Ronaldo: বিয়ে সেরে ফেলেছেন রোনাল্ডো! পাত্রী কি জর্জিনা? বড় ইঙ্গিত দিলেন সিআরসেভেন
অভিভাবকদের এ বিষয়ে অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকার টাকা বরাদ্দ করছে অথচ যারা পোশাক সরবরাহ করার দায়িত্বে রয়েছেন এ ব্যাপারে তাদের জবাব ছোট হোক বা বড় যার জন্য যেই পোশাক আনা হয়েছে তাকে সেটিই নিতে হবে। স্কুলের পোশাক যদি পড়ুয়ার পরতেই না পারে তাহলে সরকারের টাকা এভাবে নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।
Mainak Debnath