শুধু মাত্র দৃশ্যমানতার কারণে যেমন মৃত্যু ঘটে অসংখ্য নিরীহ পথ সারমেয়দের, তেমনিই সামনে চলে আসা সারমেয়কে বাঁচাতে গিয়ে নিজেরাও দুর্ঘটনায় কবলে পরেন বাইক থেকে চারচাকা গাড়ির অনেক চালক। জাতীয় সড়কের বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা মেলে দুর্ঘটনায় পরে থাকা সারমেয়দের ছিন্ন-ভিন্ন দেহের। তাই এবার পথ সারমেয়দের দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে পরানো হল রেডিয়াম বেল্ট। রেডিয়াম বেল্টের কারণে অন্ধকার রাস্তায় যদি কোনো কারণে সারমেয় উঠে পরে তার অবস্থান বহু দূর থেকেই বুঝতে পেরে সতর্ক হতে পারবেন বাইক ও চারচাকার চালকরা। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে উভয়েই রক্ষা পাবে বলে দাবি নিরঞ্জন মালিকের।
advertisement
সোমবার ১৯ নং জাতীয় সড়ক ও বর্ধমান-আরামবাগ রোডে এই রকম প্রায় ৫০ টি সারমেয়কে রেডিয়াম বেল্ট পরানো হয়। নিরঞ্জন বলেন, প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনায় অনেক সারমেয়র মৃত্যু হয়। আবার তাদের উপস্থিতির কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই আমাকে ভাবাচ্ছিল। এরপরই এই পথ কুকুরদের গলায় রেডিয়াম বেল্ট পরানোর কথা মাথায় আসে।এরপরই সেই কাজ শুরু করেছি। কাজের ফাঁকে যত বেশি সম্ভব কুকুরের গলায় এই রেডিয়াম বেল্ট পরানোর কাজ তিনি চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পশুপ্রেমী অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে বা নিজেরা সংগঠন করে পথ পশুদের ওপর নানা কাজ করছে। অনেকে পথ কুকুরদের নিয়মিত রান্না করা খাবার দেয়। অনেকে তাদের চিকিৎসা করে। প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেয়। কোনও কুকুর আহত হলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসাও করান অনেকে। তেমনই নিরঞ্জন পথ কুকুরদের গলায় রেডিয়াম বেল্ট বাঁধছেন। বাসিন্দারা বলছেন, এটি খুবই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। রেডিয়াম বেল্ট তেমন ব্যয়সাপেক্ষ নয়। অথচ খুবই কার্যকরী। এর ফলে পথ দুর্ঘটনা অনেক কমবে। পথে কুকুরদের প্রাণহানিও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।