২০২২ সালে আত্রেয়ী নদীর বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল বালুরঘাটের চকভৃগুতে। ২০২৪ সালে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এরপর ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই বাঁধের গার্ডওয়াল ভেঙে গিয়েছিল। সেই জায়গায় বালির বস্তা ফেলে মেরামতির কাজ চলছিল। এই আবহে গত ২০ মে ভোররাতে বাঁধের প্রায় ৪০ ফুট অংশ ধসে পড়ে। বাঁধ ভাঙার খবর পেয়েই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। পরে তৃণমূলকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ” মাস কয়েক আগেই আকস্মিকভাবে ভেঙেছিল সেতু, এবার আত্রেয়ী নদীর উপর কংক্রিট দ্বারা নির্মিত বাঁধের প্রায় ৪০ ফিট লম্বা অংশ জলের স্রোতে ভেসে গেল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অনুপ্রেরণায় রাজ্যে সর্বত্র ‘উন্নয়নের বন্যা’ নিয়ে আসা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্ভাগ্য বারবার তাঁদের বিফলতা জনসমক্ষে প্রমাণিত হচ্ছে।পশ্চিম পাড়ের বাঁধের গোড়ার মাটি আলগা হয়ে জল বেরিয়ে গিয়ে ড্যামের সেতু ভেঙে পড়েছিল। ক্ষতিগ্রস্থ সেই অংশের কাজ শুরু না হতেই নদীর মাঝ বরাবর কংক্রিটের ড্যাম বা ছোট বাঁধের কংক্রিটের দু’টি ব্লক ভেঙে আবার নতুন করে বিপত্তি দেখা দিল।”
advertisement
বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলা আত্রেয়ী নদীতে বিগত তিন বছর আগে পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে ওই লো-ড্যাম তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, ভোর চারটে নাগাদ প্রবল জলের তোরে ড্যামের পশ্চিম দিকের অংশ ভেসে যায়। বিগত তিন দিন ধরে উত্তরে বৃষ্টি হওয়ায় আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ড্যামের পশ্চিম অংশের আস্ত কংক্রিট সেই জলের স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্যামের পাশেই বাঁধে অতি নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে ধসে পড়ছে একাংশ। আতঙ্কে বাঁধের উপরের অংশের বাসিন্দারা৷ ২০২৩ সালেই আত্রেয়ীর জল ধরে রাখতে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা খরচে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নদী বরাবর স্বল্প উচ্চতার ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল৷ কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।