তাঁরা দেখেন, বৈকুণ্ঠপুর-২ পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকায় নদীর জলে বেশ কয়েকটি বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।এই ঘটনায় সংস্থার কর্মীরা প্রথমে বিচলিত হয়ে পড়েন। পরে তাঁরা মৃত পাখিগুলোকে জল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। কী কারণে বা কীভাবে পাখিগুলো মারা গেছে, তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তাঁরা পাখিগুলোকে বনদফতরের হাতে ময়না তদন্তের জন্য তুলে দিয়েছে।
advertisement
বন দফতরের আধিকারিক তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই পরিবেশের জন্য কাম্য নয়। আমরা মৃত পাখিগুলোর ময়না তদন্ত করাব। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অন্যদিকে পশুপ্রেমী সংস্থা বর্ধমান অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্ণধার অর্ণব দাস বলেন, কী কারণে এবং কীভাবে এতগুলো পাখি একই জায়গায় আচমকা মারা গেল, তা নিয়ে আমরা সত্যিই উদ্বিগ্ন। ময়না তদন্ত করার জন্য মৃত পাখিগুলো উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি।
আরও পড়ুন, টার্গেট গ্রামের যুবতীরা, সঙ্গী ছিল মা ও বোন, যুবকের কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন
সবে ভিন দেশের পাখিদের আসা শুরু হয়েছে। আর এরই মধ্যে একাধিক পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। চোরা শিকারিদের জন্যই পাখি গুলির মৃত্যু হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রাই।
তবে এরই মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেও এই পাখিগুলির মৃত্যু হতে পারে। মৃত পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি রিভার ল্যাপ উইং, ২ টি পন্ড হেরণ বা দেশীয় বক, ২ টি রুডি শেল ডাক।