ফের হাতির হানায় কেশিয়াড়িতে মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রের। কেশিয়াড়িতে শুক্রবার ভোর থেকেই অবস্থান করছে প্রায় ষাটটি হাতির দল। রাতে সাঁকরাইলের দুর্গাহুড়ির জঙ্গলে বন দফতর পাঠাতে সম্ভব হলেও ফের কেশিয়াড়িতে ফিরে আসে দলটি। শনিবার সারাদিন হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে অবস্থান করছিল। সঙ্গে ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। বহু মানুষ হাতি দেখতে ভিড় জমান। কেউ কেউ আবার শখ করে হাতির ছবি তুলতে থাকে। বারংবার বন দফতরের পক্ষ থেকে সাবধান করা হয়েছে। তবুও সাহস নিয়ে সামনে গিয়ে ছবি তুলেছেন বহু জন। স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে দেবপ্রিয় মাহাত (১৪) নামে এক তরুণের। বাড়ি খাজরা পঞ্চায়েতের বড় পারুয়া এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এদিন হাতি দেখতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন হাতিগেড়িয়ার জঙ্গলে।
advertisement
এদিন সকালে হাতি দেখতে অনেকেই জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে যান। কেউ কেউ মোবাইল ভিডিও, ফটো রিলস, তোলার পাশাপাশি ফেসবুকে লাইভ করতে থাকে। বিকেলেও হাতি দেখতে জঙ্গলের ভেতরে ছিলেন অনেকেই।
স্থানীয় ও বন দফতরের বক্তব্য, মাইক প্রচার করা হচ্ছিল। হাতির থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকেই শোনেননি। এদিন অনেকের সঙ্গে তরুণ হাতি দেখতে গিয়ে হঠাৎই একটি দাঁতাল তাড়া করে। ছুটে পালানোর সময় পড়ে গেলে হাতিটি পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণের। শুধু প্রাণহানি নয়, মাঠে পাকাধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।এদিন সন্ধ্যায় মৃতের বাবা বিশ্বজিৎ মাহাত বলেন,\” ছেলে হাতি দেখতে এসেছিল। হাতি পিষে দিয়েছে শুনছি। তবে রাত পর্যন্ত দেহ দেখতে পাইনি।\” অবশেষে রাতে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ১৬ মার্চ হাতির হানায় কেশিয়াড়িতে মৃত্যু হয়েছিল কেশিয়াড়ি হাইস্কুলের এক শিক্ষকের। হাতি দেখতে গিয়েই দলছুট একটি হাতি পিষে দিয়েছিল শিক্ষক বাদলচন্দ্র দত্তকে। আট মাস পর এদিনের ঘটনায় সেই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে অনেককেই। খড়্গপুর ডিএফও মনীশকুমার যাদব বলেন,\” অনেকেই অতিরিক্ত কৌতুহলী হয়ে হাতি দেখতে ভিড় করছেন। সারাদিন মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে। হাতির হানায় একজন নাবালক মারা গেছে। নিয়ম মাফিক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।\”
রঞ্জন চন্দ