বাংলা, নিজের মাতৃভাষায় অঞ্জলি দিতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। তারা জানায়, এতদিন সংস্কৃতে মন্ত্রের মানে বুঝতে পারত না, কিন্তু এবার প্রতিটা শব্দের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারল। সোমবারই বাংলা মন্ত্রের বইটি প্রকাশিত হয়। স্কুলের শিক্ষক এবং লেখক মারুত কাশ্যপ বইটি লিখেছেন।
পূর্ব বর্ধমানের সারদা মিশন মন্দিরে এ’বছরের সরস্বতী পুজোয় অভিনব প্রয়াস, সম্পূর্ণ বাংলা মন্ত্রে হল বাকদেবীর আরাধনা। ‘সম্পূর্ণ বাংলায় শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা পদ্ধতি’ বইটি লিখেছেন কবি ও চিত্রকর মারুত কাশ্যপ। বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পবিত্র সরকার ও অংশুমান কর এবং অশোক কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। মশাগ্রামের সারদা মিশন শিক্ষণ মন্দিরে বাংলা মন্ত্রে দেবী আরাধনার প্রথম পুজো অর্চনা করেন কবি-আবৃত্তিকার যা এই বিদ্যালয়ের কুড়ি বছরের ইতিহাসে আর একটি নয়া পালক।
advertisement
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার মারুত কাশ্যপের প্রচেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ” আমি কোনও ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী নই। কিন্তু বাংলা ভাষাগত ও কাব্যগুণে বইটি পড়ে এবং পাঠ শুনে মন ভরেছে। অনূদিত হলেও সংস্কৃত মন্ত্রের মূলধারা ও মাধুর্য ক্ষুন্ন হয়নি, বরং আরও কাব্যিক হয়েছে। এমন প্রচেষ্টা বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্র ছাড়াও সমাজে একটি প্রগতিশীল প্রভাব ফেলবে।” লেখক অংশুমান কর বলেন, ” কাজটি সত্যিই অভিনব। মারুতের এই পরিশ্রমকে সাধুবাদ দিতে হয়, এই কাজটি শুধুমাত্র মন্ত্রের বাংলা অনুবাদ নয়, কাব্যগুণেও অনবদ্য।” মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও অধ্যক্ষ চন্দন সাধুখাঁ বইটি প্রকাশের পর বলেন, ”এই বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত। ” বাংলা মন্ত্র উচ্চারণে প্রথম পূজা অর্চনায় পৌরহিত্য করেন কবি জয় ভট্টাচার্য।