যে কোনও এমারজেন্সি পেশেন্টের ক্ষেত্রে হাসপাতালে দরকার হয় সিসিইউ অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। যেখানে উন্নত বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয় থাকে। যেমনটা আর পাঁচটা নামিদামি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে দেখা যায়। তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এমন কোনও ব্যবস্থা না থাকলেও চিকিৎসক, নার্স এবং এবং প্যারামেডিকেল স্টাফেদের সমবেত প্রচেষ্টায় মাঝেমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ রোগীরা উন্নতমানের চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এবার এক প্রসূতিকে শুধু প্রাণে বাঁচনোই নয়, রীতিমতো তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা মিলে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরীর পর দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম, ৬২৮ বছরে মাহেশের রথযাত্রা
নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি মাম্পি খাতুন এবং তাঁর পরিবার। এই প্রসঙ্গে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট পবিত্র ব্যাপারী বলেন, সুপার তারক বর্মনের অনুমতিক্রমে এবং রোগীর পরিবারের সম্মতির কারণেই মাম্পি খাতুনকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা গেছে। এই বিষয়ে ডঃ তন্ময় সরকার, ডঃ প্রদীপ দাস, ডঃ তরুণ বক্সী সহ গাইনি ডিপার্টমেন্টের সকল চিকিৎসক এবং নার্সদের অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন ডঃ ব্যাপারী।
রোগী সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রসবের আগে, প্রসবের সময় কিংবা পরে কনভালশন খিচুনি হয়ে থাকে অনেক মায়ের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে মাম্পি খাতুন কালনায় একটি নার্সিংহোমে সম্প্রতি সিজারে সন্তান প্রসব করার পর এই সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ওনার সমস্যা ছিল প্রেসারের, যা সেসময় ছিল ২১২/১১০। আর সেই কারণেই দৃষ্টিশক্তি প্রথমে ঝাপসা, পরবর্তীতে একেবারেই দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁর নিয়মিত চিকিৎসার ফলে আজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আবার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছেন।
মৈনাক দেবনাথ