TRENDING:

Rural development: গ্রামীণ উন্নয়নে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ খরচ হয়নি একাধিক জেলায়, রিপোর্ট পঞ্চায়েত দফতরের

Last Updated:

Panchayat and Rural development: রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের রিপোর্ট বলছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা এখনো পর্যন্ত জেলাগুলি  ৩০ শতাংশই খরচ করতে পারিনি। জেলাগুলির এই ভূমিকায় অসন্তুষ্ট খোদ নবান্নের শীর্ষ মহল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটলেও রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে রাজ্যের বরাদ্দ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ করে গ্রামীণ গরীব মানুষের বাড়ি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। সেই মতো গ্রামীণ গরীব মানুষের তালিকা তৈরি হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই টাকা বিলি করবে রাজ্য। তারপরও গ্রামীণ বিকাশে পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা রাজ্যের খরচ করতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
গ্রামীণ উন্নয়নের অনেক টাকা খরচ হওয়া এখনও বাকি।
গ্রামীণ উন্নয়নের অনেক টাকা খরচ হওয়া এখনও বাকি।
advertisement

আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের পরে স্বামীর থেকে খোরপোশ দাবি করতে পারেন মুসলিম মহিলারাও: সুপ্রিম কোর্ট

পঞ্চদ্বশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ করেছে ৩ হাজার ১২৩ কোটি টাকা। জুন পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ৮৪৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ২৭.১৮ শতাংশ। প্রায় ২ হাজার ২৭৪ কোটি ৭ লক্ষ টাকা জেলা ট্রেজারিতে পড়ে রয়েছে মাসের পর মাস।

advertisement

আরও পড়ুন: নাগেরবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণ নেভাতে আরও সময় লাগবে

দেখা গিয়েছে, সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই দুই জেলা বরাদ্দ অর্থের ২০ শতাংশের সামান্য বেশ টাকা খরচ করেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের দশ জেলা তাদের গ্রামীণ উন্নয়নে অর্থ কমিশেনর বরদ্দ টাকার ২৫ শতাংশের কম টাকা খরচ করেছে। এই জেলাগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনা। সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কোচবিহার জেলায়। ৪৮.০৮ শতাংশ।

advertisement

অর্থ কমিশনের এই টাকার ৬০ শতাংশ নির্দষ্ট পরিকল্পনা মেনে খরচ করার জন্য শর্তাধীন তহবিল বা টায়েড ফান্ডে বরাদ্দ করে। যা পানীয় জল, স্যানিটেশন প্রকল্পে খরচ করা হয়। এজন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে নির্দিষ্ট প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দিতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা আনটায়েড ফান্ড বা নিঃশর্তধিন তহবিলে বরাদ্দ করা হয়। এই তহবিলের টাকা খরচে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির স্বাধীনতা রয়েছে। এই টাকা মূলত গ্রামীণ পরিকাঠামো বিকাশে  খরচ হয়। গ্রামীণ এলাকার সমষ্টিগত উন্নয়নে খরচ করতে হয়। বেতন, প্রশাসনিক বা পরিবহণ সংক্রান্ত কাজে এই টাকা খরচ করা যায় না।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গ্রামীণ উন্নয়নের টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টেন্ডার এর নামে টাকা নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে বলেও সরব হয়েছিলেন। তারপর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ নিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Rural development: গ্রামীণ উন্নয়নে কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ খরচ হয়নি একাধিক জেলায়, রিপোর্ট পঞ্চায়েত দফতরের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল