গত শনিবার পরীক্ষা হওয়ার পর স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রী-সহ শিক্ষিকা, স্কুলের সমস্ত কর্মীরা বাড়ি চলে যান। কিন্তু স্কুলের তৃতীয় তলার ঘরে থেকে যায় দশম শ্রেনীর ছাত্রী অপর্ণা দাস। এ দিকে সময় মত বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকেরা। মুর্শিদাবাদ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবা প্রদ্যুৎ কুমার দাস বন্ধুদের থেকে খোঁজ নিয়ে এমনকি স্কুলে এসে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। সন্ধ্যার পর কয়েকজন রাজমিস্ত্রীরা কাজ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় স্কুল বিল্ডিং-এ অপর্ণাকে দেখতে পায় এবং খবর দেওয়া হয় স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এর পরেই স্কুলের ভিতরেই আটকে থাকার পর ২৮ ঘন্টা পরে উদ্ধার করা হয় অপর্ণাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল যুবক, এবার বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের!
খবর পেয়ে পুলিশ এসে অপর্ণাকে উদ্ধার করে লালবাগ মহকুমা হাসতাপালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য। অত্যন্ত ভীত ও আতঙ্কিত অবস্থায় ছিল অপর্ণা। বাবা প্রদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, ''আমি স্কুলের গেট ম্যানকে বলা সত্ত্বেও তৃতীয় তলায় পরীক্ষা হয়নি বলে তিনি খোঁজ করেননি। শিক্ষিকারাও তৎপরতার সঙ্গে আমার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেননি। আমরা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম যদি ভালো ভাবে খোঁজা হত তা হলে ওইদিনই আমার মেয়েকে পেয়ে যেতাম। আমার মেয়েকে কেউ না দেখতে পেলে আরও যেতে পারত। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা ঘোষ বলেন, ওই ছাত্রী অ্যাটেনডেন্স খাতায় অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষাও দেয়নি সে। সেই কারনেই আমরা মনে করেছিলাম সে স্কুলে আসেনি। তবে স্কুলের সবকটি ঘরেই খোঁজ করা হয়েছিল। ওই ছাত্রী বাবা-মায়ের বকাবকির কারনে বাড়ি না যেতে চাওয়ায় লুকিয়ে ছিল বলেই জানিয়েছেন।
Pranab Kumar Banerjee