আরও পড়ুন Birbhum News: সঙ্কটে কোপাই নদী, নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে লুঠ হচ্ছে মাটি
চাকরি না পেয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছেলেরা হাতে গড়া সোনার গয়না তৈরি করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে। তবে ছোট থেকে হাতে কাজ শিখে তারা সোনার কারিগর তৈরি হয়েছে। সোনার দোকানিরা ছোট বড় কাজ করে দিন চালিয়েছেন এতদিন। এ রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরেও সোনার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিরাট সংখ্যায় রয়েছেন৷ তারা এই ছোট বড় কাজ করে নিজের সংসার চালিয়ে আসছেন। এই সোনার গয়না বিক্রি করতে গেলে এখন হলমার্কের উপর নির্ভর করে বিক্রি করতে হয়।এই গয়না মূলত 22 ক্যারেট 24 ক্যারেট হলমার্কের উপর ক্রেতাদের বিক্রি করা হয়। সোনার জিনিসপত্র ক্রয় করেন ক্রেতারা এবং সেই হলমার্ক নির্ধারণ করে সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত এলাকার হলমার্ক সেন্টার। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সোনার জিনিসপত্রে হলমার্কের পাশাপাশি থাকবে QR code, যে কোডের দ্বারা অনলাইনে ওই গয়নার সমস্ত তথ্য আপলোড করা থাকবে। যাতে কোনভাবেই ক্রেতা প্রতারিত না হয়। পাশাপাশি ওই সোনার গয়নার তথ্য নির্দিষ্টভাবে সরকারি দফতরে জমা হবে। ফলে ওই গয়না কোন দিনে কার কাছে বিক্রি হয়েছে বা কার কাছে কত সোনা মজুদ রয়েছে সেটাও জানা যাবে সহজেই। এই নির্দেশিকা HUID বা hallmarking unique identification system নামে পরিচিত।
advertisement
এমন নির্দেশিকা জারি হতেই সমস্যায় পড়েছেন সোনার কারিগর থেকে ছোট বড় দোকানিরা। কারণ, এই নির্দেশিকা মানতে গেলে একটা সোনার জিনিস বিক্রি করতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। QR কোড গ্রাহকের কাছে তুলে দেওয়া সহ আরও নানা ধাপ পেরতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। যার ফলে ব্যবসায় যেমন সমস্যা হবে তেমনই গয়না বিক্রি করতে সমস্যায় পড়বেন তারা। এর পাশাপাশি রয়েছে আরও নানাবিধ সমস্যা। সেসব সমস্যা সমাধানের দাবিতেই সোমবার প্রতীকী ধর্মঘট করল পশ্চিম মেদিনীপুর সহ সারা রাজ্যের ছোট স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
Sovon Das