লকডাউন পর্বকে পেছনে ফেলে এখন আবার স্বাভাবিক ছন্দে বর্ধমান শহর। ব্যাপকভাবে করোনা আক্রান্ত ৫ রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ঢুকছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। হাজারে হাজারে শ্রমিক যাচ্ছেন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। তাদের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে যাদের তাদের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। তারই মধ্যে খুলে গেছে দোকানপাট শপিংমল রেস্তরাঁ। আবার আগের মতই সেজেগুজে মার্কেটিংয়ে বেরুচ্ছেন অনেকেই। করোনা নামক মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে এখন পুরুষ মহিলাদের অনেকেই নিশ্চিন্তে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরুচ্ছেন। অনেকে সেরে নিচ্ছেন আড়াই মাসের বকেয়া কেনাকাটি।
advertisement
সব মিলিয়ে ভয় কেটে গিয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করছেন ঠিকই, তবে অনেকেই তা করছেন বাকিরা করছেন বলে। অনেকে আবার কান থেকে গলায় ঝুলিয়ে রাখছেন মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সাবধানবাণীকে বিশেষ পাত্তা লকডাউনের সময়ই দেয়নি বর্ধমান। এখনতো সব মিলেমিশে একাকার। আর এসব দেখেই চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা।
তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ফের নতুন করে পথে নামল পুলিশ। মঙ্গলবার বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বরে তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিলেন পথে বেরোনো বাসিন্দাদের। মাস্ক পরার অভ্যেস ভুলতে চাইছেন অনেকেই। তাঁদের মুখে মাস্ক বেঁধে দিয়ে বেঁধে রাখাটাই অভ্যেস করারও পরামর্শ দিলেন তাঁরা।