মাথাব্যথার কারণ যে টোটো, সেই টোটোর একজন চালককে হঠাৎ পুলিশের মাথায় তোলার আসল কারণও অবাক করার মতোই। ছিমছাম চেহারার আমতার ভোজান গ্রামের বাসিন্দা রথীকান্ত সাঁতরার সাহায্যেই এক অসাধ্যসাধন করতে পেরেছে পুলিশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে চুরি যায় ১২ দিন বয়সি এক সদ্যোজাত শিশু। এই ঘটনার পর আমতা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
advertisement
চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে ছিল একটি মাত্র সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে এক মহিলাকে চুরি যাওয়া শিশুকে নিয়ে একটি টোটোতে উঠতে দেখা যায়। সেই সিসিটিভি ফুটেজ বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই ফুটেজ। ভাইরাল ওই ভিডিও ফুটেজ দেখে , ওই মহিলাকে চিনতে পারেন টোটোচালক রথীকান্ত৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পুলিশকে ফোন করে ওই টোটো চালক় জানান, আমতার মিল্কি চক এলাকায় ওই মহিকাকে শিশু সহ তিনিই পৌঁছে দিয়েছিলেন।
পুলিশ ততক্ষণাৎ টোটো চালকের সাহায্য নিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছয় এবং ওই চুরি যাওয়া শিশুসহ মহিলাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে৷ উদ্ধার হওয়া শিশুকে প্রকৃত বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ রকম স্পর্শেকাতর ঘটনায় পুলিশের পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের জন্য আজ রথীকান্তবাবুকে হাওড়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার সুবিমল পাল পুরস্কৃত করেন। রথীকান্তবাবুর সাহস ও সততার মধ্যে দিয়ে কি ঘুচবে টোটোচালকদের দুর্নাম? প্রশ্ন থাকলেও খুশি টোটো চালক মহল৷