🔥 নাটকীয় অভিযান
গতকাল সন্ধ্যে সাড়ে ছটার পর থেকেই গোটা গেস্ট হাউস ঘিরে ফেলে পুলিশ। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত দল ঢুকে পড়ে গেস্ট হাউসে। চলে তল্লাশি। অভিযানে ধরা পড়ে একজন মহিলা-সহ মোট পাঁচজন। এদের মধ্যে একজন জখম অবস্থায় ছিলেন, তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এখনও পর্যন্ত মহিলার পরিচয় স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক অনুমান, তিনি দুষ্কৃতী দলের ঘনিষ্ঠ কেউ। গোটা দল কলকাতায় আশ্রয় নিয়েছিল বলেই মনে করছে তদন্তকারীরা।
advertisement
বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে ইয়া বড় বড় বিষধর!
💣 চন্দন মিশ্র খুনে তৌসিফের ভূমিকা? তদন্তে জোর দিচ্ছে পুলিশ
পটনা কাণ্ডে ধৃত শুটার তৌসিফ ওরফে বাদশা, তদন্তের ফোকাসে শেরু সিংহ ও চন্দন মিশ্র খুনের যোগ! তৌসিফকে নিয়ে তদন্তকারীরা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনার যোগসূত্রে। পুলিশ সূত্রে খবর, চন্দন মিশ্র ও শেরু সিংহ ছিলেন একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দু’জনেই একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলে ছিল। শুটার পটনার হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রের শ্যুটআউটের ঘটনায় কলকাতা থেকে আরও চারজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে, চন্দনের সাজা ছিল ফাঁসি—পরে যা জীবনদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। সেই সময় থেকেই শেরুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। অভিযোগ, চন্দন জেল থেকে বেরোনোর পর শেরুর দলের একাধিক সদস্যের নাম পুলিশকে ফাঁস করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় শেরুর গ্যাং।
সেই দলে ছিল তৌসিফ। অভিযোগ, প্যারোলে বেরিয়েই রেকি করে চন্দনকে খুন করে সে। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এই খুনের পিছনে শেরু সিংহের প্রত্যক্ষ নির্দেশ ছিল কি না।
🌐 ক্রস-স্টেট অপরাধে মাথাব্যথা পুলিশ প্রশাসনের
পটনা-কোলকাতা চক্র ধরে পুলিশের মাথাব্যথা বাড়ছে। তৌসিফ ও তার সঙ্গীরা যে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শহরে ঢুকেছিল, সেটাও ছিল পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। তদন্তে উঠে এসেছে মোবাইল লোকেশন, সিসিটিভি ফুটেজ ও গাড়ির নম্বর প্লেট।
পুলিশ সূত্রে ইঙ্গিত, চন্দন মিশ্র খুনের পেছনে শুধু ব্যক্তিগত প্রতিশোধ নয়, এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে অর্গানাইজড গ্যাং লেভেলের ছক।
😱 আতঙ্ক এলাকাবাসীদের মধ্যে
ঘটনার পর থেকেই আনন্দপুর এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হঠাৎ এত বিশাল পুলিশি তল্লাশি, অস্ত্রধারী ফোর্স দেখে থমকে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ জানাচ্ছেন, এই এলাকায় এমন দৃশ্য কখনও দেখেননি।
🔍 এখন প্রশ্ন উঠছে—-
- চন্দন মিশ্র খুনের নির্দেশ কি সত্যিই এসেছিল শেরু সিংহের তরফে?
- তৌসিফ ও তার গ্যাং কতদিন ধরেই বা কলকাতায় লুকিয়ে ছিল?
আটক মহিলার ভূমিকা ঠিক কী?
শনিবার ভোরেই নিউ টাউনের অভিজাত সুখবৃষ্টি আবাসন থেকে পটনার হাসপাতালের এই হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে আচক করে পুলিশ৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার পুলিশের এসটিএফ-এর যৌথ অভিযানে এই চার জনকে আটক করা হয়৷
পটনার হাসপাতালের আইসিইউ-এর এই শ্যুটআউটের ঘটনায় গোটা দেশে শিউরে উঠেছে৷ মনে করা হচ্ছে, বিহারে এই অপারেশনের পর কলকাতাতে এসেই ঘাঁটি গেড়েছিল অপরাধীরা৷