আরও পড়ুনঃ সাতসকালে কাজে যাওয়ার পথে নেমে এল চরম দুর্ভোগ! গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে… পিষে গেলেন ১, গুরুতর জখম ৭
মেদিনীপুর শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরগঞ্জ এলাকায় রয়েছে জাগ্রত শিক্ষা নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৯ সালে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ছিল গড়ে পঞ্চাশের আশেপাশে। ২০২০ সাল থেকে কমতে শুরু করে পড়ুয়ার সংখ্যা। ২০২৩, ২০২৪, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একজন ছাত্রও ভর্তি হয়নি স্কুলে। বর্তমানে এই প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র সংখ্যা দু’জনে দাঁড়িয়েছে। অথচ স্কুলে ছাত্রদের পাঠদানের জন্য রয়েছেন চারজন শিক্ষক শিক্ষিকা। ছাত্র কম থাকার কারণে বন্ধ মিড ডে মিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছে চালের বরাদ্দ। স্কুলে আসা দু’জন ছাত্র বঞ্চিত হচ্ছে মিড ডে মিলের সুবিধা থেকে।
advertisement
ছাত্রদের সংখা বাড়াতে স্কুল কি আদেও উদ্যোগ নিয়েছে?
আরও পড়ুনঃ নেশা করে বাবার বুকে ছুরি! মদ্যপ ছেলের কাণ্ডে মায়ের সিঁথির সিঁদুর ঘুচল, চাঞ্চল্য কৃষ্ণনগরে
প্রধান শিক্ষকের দাবি, তাঁরা দফায় দফায় বিভাগীয় আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের এই স্কুলে আনার চেষ্টাও চালিয়েছেন।
তবে স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষকরা বেশিরভাগ সময়ই স্কুলে এসে ব্যস্ত থাকেন মোবাইলে। ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার মানও অত্যন্ত খারাপ। আর সেই কারণেই অভিভাবকরা ঝুঁকি নিয়ে এই স্কুলে পাঠাতে পারছে না তাদের শিশুদের। একই দাবি করলেন ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সভাপতি তথা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিমা দে। স্কুলে পড়ুয়া না আসার ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকেই দায়ী করেছেন তিনি।
তবে ওয়ার্ড এডুকেশন কমিটির সভাপতি হিসাবে তিনি কেন কোন উদ্যোগ নেননি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কার্যত হোঁচট খেতে হয়েছে প্রতিমাদেবীকে।