পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এদিন সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করলেও চিকিৎসক ও নার্সদের তেমনভাবে তৎপরতা চোখে পড়েনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা নাবালক জিৎ এর অবস্থা দেখে পরিবারের তরফ থেকে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা নার্স ও চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও রীতিমতো তাদের ধমক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, “আমাদের থেকে আপনারা বেশি বোঝেন!” তখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে শিশুটি যা দেখে রীতিমতো আশপাশের রোগীরাও নাবালকের চিকিৎসার জন্য আবেদন জানাতে থাকেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু কোনও রকম চিকিৎসা মেলেনি ওই নাবালকের।
advertisement
এমনকি রক্ত পরীক্ষার কথা থাকলেও তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেই মা এর চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে বছর ১৪ নাবালক জিৎ। এরপরই, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। অবস্থা সামাল দিতে আসে অশোকনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সঠিক চিকিৎসা হয়নি ছেলের, আর তার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নাবালক জিৎ এর বাবা সুকুমার বিশ্বাস। দোষীদের কঠোর শাস্তিও দাবি জানাচ্ছেন তিনি। অপরদিকে, হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। তবে চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে নাবালকের মৃত্যুর ঘটনা আরও একবার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল মনে করছেন রোগী থেকে রোগীর পরিবার এমনকি অশোকনগরবাসীরাও।
রুদ্র নারায়ণ রায়