ভৌগলিক দিক থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে সবথেকে নীচু এলাকা ঘাটাল। গতবছরের বন্যায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল জীবন। প্রতিবারই একই ছবি। টানা বৃষ্টিতে বানভাসি ঘাটালের একাধিক এলাকা। ডিভিসি জল ছাড়লেই প্লাবন। ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবুডুবু। ঘাটাল থেকে চন্দ্রকোণা যেতে জলভাসি কেঠিয়া ও মনসাতলা চাথাল। অনির্দিষ্টকালের জন্য চার নম্বর রাজ্য সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল । রাস্তার উপর তখন নৌকাই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা।
advertisement
আরও পড়ুন: সেলাম! স্কুলে পৌঁছতে খরস্রোতা নদী দড়িতে ঝুলে পার হলেন এই শিক্ষক
---ঘাটালের উপর দিয়ে গিয়েছে ৪ নম্বর রাজ্য সড়ক
---চন্দ্রকোণা রোড থেকে মেছোগ্রাম পর্যন্ত ৪ নং রাজ্য সড়ক
---চন্দ্রকোণা রোডে রাজ্য সড়ক মিলছে ৬০ নং জাতীয় সড়কে
--মেছোগ্রামের কাছে ৬ নং জাতীয় সড়কে মিশেছে ৪ নং রাজ্য সড়ক
বছর ঘুরে এসেছে আরেক বর্ষা। এবার অবশ্য বৃষ্টিতে ভয় পাচ্ছে না ঘাটাল। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হয়েছে রিং বাঁধ।
নতুন করে তৈরি হয়েছে কেঠিয়া ও মনসাতলা চাথাল। বানানো হয়েছে ক্রসওয়ে। এই ক্রসওয়ের নীচেই রিং বাঁধ। ফলে যতই বৃষ্টি হোক না কেন, দুপাশে সবুজ জমিতে জল আর আটকে থাকছে না। ক্রসওয়ের নীচে রিং বাঁধ দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে অপর প্রান্তে। এবার আর রাজ্য সড়কে নৌকা চলছে না । ভরা বর্ষাতেও বাসে, বাইকে চন্দ্রকোণা থেকে ঘাটাল পাঁশকুড়া রুটে যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা। এবার ঘাটালে আর আতঙ্কের বর্ষা নয়।