শুধু তাই নয়, শ্বশুর, শাশুড়ি ও তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করেই বাড়ি ছাড়েন দুই বউ, অভিযোগ এমনই। থানার দ্বারস্থ ওই দুই বউয়ের স্বামীরা। অপরদিকে, স্বামী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছেন অভিযুক্ত যুবকের স্ত্রীও।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের মালিদা গ্রামের বাসিন্দা দাদা ইয়াসিন শেখ ও ভাই আনিসুর শেখের দুই স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের আরিফ মোল্লার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আনিসুর গ্যারেজের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখতে পান তাঁর বাবা মা ও তিন মেয়ে অচেতন হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে নেই স্ত্রী, বৌদি ও এক মেয়ে।
advertisement
এর পর বাবা-মা, তিন মেয়েকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফিরলে বাবা মা জানান, আরিফ এসে দুই বউয়ের কাছে কিছু একটা দিয়ে গিয়েছিল। তার পরেই চা বানিয়ে দিয়েছিল দুই বউ। সেই চা খাওয়ার পর থেকেই তাঁরা অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগেই বাড়ির বড় বউ কুলচান মল্লিক ছোট বউ নাজমা মন্ডল-সহ এক মেয়েকে নিয়ে আরিফের সঙ্গে চম্পট দেন।
গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আনিসুর বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আনিসুর শেখ জানিয়েছেন, এর আগেও বড় বৌদি ও তার স্ত্রীকে নিয়ে আরিফ মোল্লা পালিয়ে ছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের কথা ভেবে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিন চায়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে বাবা মা দাদার দুই মেয়ে ও তার এক মেয়েকে অচেতন করে দুই বউকে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ।
আরও পড়ুন- কলকাতার কাছেই গোপনে তৈরি হচ্ছে সামরিক অস্ত্র, রাফাল! তবে কী আবার…! কী হতে চলেছে জানুন
আরিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুর। আরিফের শাস্তির দাবি তুলেছে আনিসুরের বাবা-মাও। অন্যদিকে, আরিফের স্ত্রী সোনিয়া মোল্লা জানিয়েছেন, আরিফ এবং ওই দুই বউয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক আমি সেটাই চাই। আমার একটা জীবন আছে, বাচ্চাদেরও একটা জীবন আছে। আমি জানতাম ওদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। দুই বউকে একসঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে আরিফ। আরিফের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সেই দাবি জানাই। লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগদা থানার পুলিশ।