খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, অভিযুক্ত সুব্রত বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে গুরুতর জখম কমলা বিশ্বাসকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ক্রমাগত অবস্থার অবনতি হতে থাকলে হলে তাঁকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কমলা বিশ্বাসের মাথা এবং মাথার পিছনের অংশে ধারাল দায়ের কোপ দেওয়া হয়েছে চার-পাঁচটি।
advertisement
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কমলা বিশ্বাসের স্বামী সুশান্ত বিশ্বাস ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কাজে কলকাতায় গিয়েছিলেন। বাড়িতে শাশুড়িও ছিলেন না। ঘটনার পরই শান্তিপুর থানার কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। প্রতিবেশীদের বয়ান সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানান, কমলা বিশ্বারের সন্তান অসুস্থ থাকায় সোমবার সারারাত কাঁদছিল আর তাতেই ঘুমের ব্যাঘাত হয় পাশের ঘরে শুয়ে থাকা কমলার ভাসুরের। প্রথমদিকে সে বেশ কয়েকবার বিরক্তি প্রকাশ করে। কিন্তু ভোরবেলা কমলার স্বামী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর আরও চটে যায় অভিযুক্ত। পাশের ঘরে থাকা বউমার উপর চড়াও হয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদ থেকেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। শুধুই কি ঘুমের ব্যাঘাত? নাকি পূর্বের কোনও শত্রুতার জের? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ! অন্যদিকে শান্তিপুর হাসপাতাল থেকে কৃষ্ণনগরের স্থানান্তরিত করা কমলা বিশ্বাসের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে।






