হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে নবদ্বীপকে। চৈতন্যদেবের জন্মস্থান, বিষ্ণুপ্রিয়া ভিটা, সোনার গৌরাঙ্গ, মণিপুর রাজবাড়ি, সংস্কৃত কলেজ, পুরসভা ভবন-সহ নদিয়ার এ শহরের বিভিন্ন জায়গাকেই হেরিটেজ তকমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সে যুগের নবদ্বীপ ছিল রাজকীয় বৈভব আর ঐশ্বর্যে ভরা এক নগরী।
বাংলার অন্যতম শক্তিশালী রাজা বল্লাল সেনের রাজধানী ছিল নবদ্বীপ।
এই নবদ্বীপই আবার দেখেছে মুসলিম শাসন। বখতিয়ার খলজির শাসন।
advertisement
আবার নবদ্বীপ মানেই চৈতন্য। যাঁর আবির্ভাবে এ শহর হয়ে ওঠে দেশের শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদ চর্চার কেন্দ্র। হিন্দু -অহিন্দু, পণ্ডিত-মূর্খ, উচ্চ-নিচ ভেদাভেদ না করে হরিবোল ও কীর্তনের মাধ্যমে ভক্তিধর্ম প্রচার শুরু করেন চৈতন্য। বাংলা সাহিত্য ও ধর্ম নতুন করে জেগে ওঠে। নতুন করে লেখা হয় বাংলার ইতিহাস। অনেকে বলেন সেটা ছিল চৈতন্য রেনেসাঁ।
একসময় নবদ্বীপকে বলা হত প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। তখন টোলে টোলে সংস্কৃত শিক্ষা। এখন আর সে সব নেই। শুধুমাত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনও সংস্কৃত পড়ানো হয়। ব্যবসায়ীদের আশা, নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হলে, পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে নবদ্বীপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রচীন শহর এ দেশে হাতে গোনা। সেই নবদ্বীপ এবার হেরিটেজ শহর।
