এদিন বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিটে ভারতের নদিয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৬৫) দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে রেখে যান।
শিলিগুড়িতে মমতা! কী বিষয়ে জরুরি বৈঠক সারলেন জেলাশাসকদের সঙ্গে? হল বিস্তারিত আলোচনা
বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার! কোন মহিলারা পাবেন জানেন? আবেদনে দরকার শুধু এই নথি!
advertisement
তার এক মেয়ে বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি শেষবারের মতো তার মায়ের মুখটি দেখার জন্য আকুতি, মিনতি করে প্রার্থনা জানান। মেয়ের এই মানবিক আবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সকাল ১০ টায় সীমান্তের মেইন পিলার ১০৫-এর কাছে শূন্যরেখায় জাহানারা বেগমের মরদেহ আনা হয়। সেখানেই বাংলাদেশে বসবাসরত মেয়েকে মায়ের শেষ মুখটি দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)\’র পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, এই ধরনের মানবিক কার্যক্রম শুধু দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করে না, বরং সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের মধ্যেও আস্থা তৈরি করে। বিজিবি সবসময় \’সীমান্তের নিরাপত্তা এবং আস্থার প্রতীক\’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে । সীমান্তের মানুষের কথা ভেবে মানবিকভাবে বিএসএফও একইভাবে কাজ করে চলেছেন জনগণের জন্য সদা সর্বদা । বিএসএফ যে কতটা মানবিক তার প্রমাণ মিলল মৃত মায়ের মুখ বাংলাদেশের বসবাসকারী মেয়েকে শেষ বারের মত দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য । এইজন্য বাংলাদেশে বসবাসকারী মেয়ে বিএসএফকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।