TRENDING:

ঘরের কাছেই সাইবেরিয়ার পাখি! বিদেশি 'অতিথি'দের দেখতে যাবেন নাকি? এই ঠিকানায় গেলেই মিলবে দর্শন

Last Updated:

Migratory Birds in Jhargram: প্রত্যেক বছর বর্ষার শেষে সাইবেরিয়া থেকে এখানে ছুটে আসে পরিযায়ী পাখির দল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জামবনী, ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দীঃ সুদূর সাইবেরিয়া থেকে দলে দলে, ঝাঁক বেঁধে আসে আর ঝাড়গ্রামে বাসা বাঁধে। কয়েক মাস পরম নিশ্চিন্তে দিন গুজরানের পর ফিরে যায় আপন আলয়ে। ছোট্ট একটি গ্রাম কেন্দুয়া। দেখার মতো তেমন কিছু নেই! তবুও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই প্রত্যন্ত গ্রামটি।
advertisement

জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, গেরস্থের আঙিনায় রয়েছে কয়েকটি তেঁতুলগাছ। এই কেন্দুয়া গ্রামেই এক গৃহস্থের উঠোনের দু’টি তেঁতুল গাছে প্রতি বছর বর্ষার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বাসা বাঁধে শামুকখোল। অর্থাৎ সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল।

আরও পড়ুনঃ প্রেমের টানে বাংলাদেশে গিয়ে প্রতারিত, দেশে ফেরার সময় ‘ফেঁসে’ গেলেন হাওড়ার যুবতী! হাতেনাতে ধরল BSF, তারপর?

advertisement

বর্ষা শুরু হলেই গাছের ডালে বাসায় ডিম পাড়ে স্ত্রী শামুকখোল। ভরা বর্ষায় ডিম ফুটে বের হওয়া ছানারা এক সময় উড়তে শেখে। হেমন্তের শুরুতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল আবার ফিরে যায় নিজেদের ডেরায় অন্য কোনও দেশে।

View More

কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা বিধান মাহাতর বাড়ির উঠোনের তেঁতুল গাছে প্রতি বছর এই ‘অতিথি’দের দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে পরিবেশ। কয়েকশো বছরের পুরনো তেঁতুল গাছগুলি আর আগের মত শক্তপোক্ত নেই। এই গাছ ভেঙে পড়লে পাখিরা থাকবে কোথায়?

advertisement

আরও পড়ুনঃ বন্ধ হল চিড়িয়াখানার দরজা, পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ! ফের কবে খুলবে?

জঙ্গলমহলের পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান চিলকিগড়, রামেশ্বর, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, হাতিবাড়ি, সীমান্তের চিত্রেশ্বর, লালজলে আদিম মানুষের গুহার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত কেন্দুয়া গ্রামের এই পরিযায়ী পাখিরা। ফি বছর বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এদের টানে কেন্দুয়া ছুটে আসেন। তাই স্থানীয়রা পাখির দলকে রক্ষার জন্য প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

advertisement

কেন্দুয়া গ্রামে মূলত গ্রেট এগ্রেট, ইন্টারমিডিয়েট এগ্রেট, লিটল এগ্রেট, ক্যাটল এগ্রেট, ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন, ইন্ডিয়ান গোল্ডেন ওরিয়ল, ব্ল্যাক হেডেড ওরিয়ল এবং রুফাস ট্রিপি-র মতো বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। স্থানীয়রা এদের শামুকখোল বলে। এদিকে এই ‘অতিথি’দের কাছে বর্তমানে চরম সংকটের কারণ হল, রাত হলেই তাঁদের বাসায় হানা দেয় চোরাশিকারির দল।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বর্ষার শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে এই পাখির দল উড়ে এসে বাসা বাঁধে কেন্দুয়া গ্রামের যতীন্দ্রনাথ মাহাতর তেঁতুল গাছে। কার্তিক মাসের পর ফিরে যায় সাইবেরিয়া। কয়েক দশক ধরেই চলছে সাইবেরিয়ার ‘অতিথি’দের আনাগোনা। এই কয়েকমাস সকালে এখানকার গ্রামবাসীদের ঘুম ভাঙে পরিযায়ী পাখির কলরবে। তাঁরা আসার পর গ্রামবাসীরা আনন্দে থাকেন, ফিরে গেলেই মন খারাপ।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ঘরের কাছেই সাইবেরিয়ার পাখি! বিদেশি 'অতিথি'দের দেখতে যাবেন নাকি? এই ঠিকানায় গেলেই মিলবে দর্শন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল