বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। এই গ্রামে এমন কোনও পরিবার খুঁজে পাওয়া দুস্কর, যে পরিবার থেকে কেউ না কেউ নেপালে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজে যাননি। এই গ্রাম থেকে নেপালে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকেরা মূলত নেপালের কাঠমান্ডুর নেপালগঞ্জ এলাকায় থাকা একের পর এক কাঁসার বাসন তৈরির কারখানায় কাজ করেন। প্রতি বছর পুজোর সময় তাঁরা ফিরে আসেন নিজের গ্রামে।
advertisement
আরও পড়ুন :রাজা নেই, রাজত্ব নেই! তবু ঐতিহ্যের জৌলুসে আজও ঝলমল করছে হেঁশলা রাজবাড়ির দুর্গাপুজো
এবছরও সকলেই গ্রামে ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই নেপালে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। অশান্তির জেরে নেপালের কাঁসার বাসন তৈরির কারখানাগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। কারখানা লাগোয়া আবাসগুলিতেই অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি আটকে পড়েন লালবাজার গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিক। নেপাল জুড়ে কার্ফু জারি হওয়ায় এখন দেশে ফেরা তো দূরের কথা, কারখানা চত্বর থেকে রাস্তায় বেরোনোয় নিষেধ।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোয় দিঘার নতুন চমক! সমুদ্র শহরে বদ্রিনাথ মন্দির দেখে অবাক হবেন আপনিও
কারখানার মালিক পক্ষ কারখানার শ্রমিক আবাসগুলিতে খাবার ও জল সরবরাহ করলেও, কাজে যাওয়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিক পরিবারগুলিতে। খবরে নেপালের ভয়ঙ্কর অশান্তির খবর দেখে লালবাজার গ্রামে কোনও পরিবারে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে, তো কোনও পরিবারে লাটে উঠেছে রান্নাবান্না, খাওয়া দাওয়া। এই পরিস্থিতিতে পরিবারগুলির একটাই কামনা, পুজোর আগেই সুস্থ অবস্থায় নিজের গ্রামে ফিরে আসুক প্রতিটি পরিযায়ী শ্রমিক।