#বীরভূম: দু’দিনে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল বেশ কয়েকটি কুকুরের। ঘটনাটি নলহাটি ২ নং ব্লকের কুমারসন্ডা, হাজিপাড়া এলাকায়। গ্রামবাসীদের দাবি, দু’দিনে কমপক্ষে ২০ টি পথকুকুর মারা গিয়েছে। জেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক সৌরভ কুমার জানান, এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তনে কুকুররা বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাদের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা আছে। কোথাও অস্বাভাবিকভাবে কুকুরের মৃত্যু হলে সেখানে নজর দেওয়া উচিত।
advertisement
চৈত্রে শীতের আমেজ। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস সংক্রমণের আদর্শ সময়। তা যেমন মানুষের, তেমন প্রাণিদের ক্ষেত্রেও সত্য। গত রবি, সোমবার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ন-পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারসন্ডা, হাজিপাড়া, পশ্চিমপাড়ায় রাস্তার ধারে কুকুরদের মরে পরে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসী মহম্মদ নাজিরুদ্দিন জানান, কুকুরেরা দু’দিন ধরে ঝিমুচ্ছে। মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। তারপরে মারা যাচ্ছে। গ্রামবাসী নুরুল ইসলামের দাবি রবি, সোমবার মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ টা পথকুকুর মারা গিয়েছে।
তাঁরা জানান, পরিস্থিতি এমন দেখে গ্রামের প্রাণি বিকাশ বন্ধুদের মাধ্যমে ব্লকে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা জানান হয়েছে। গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কুকুরদের মাটিতে না পুঁতে রেল লাইনের ধারে বা রাস্তার মাঝে ফেলে রাখা হচ্ছে। যা থেকে শঙ্কিত গ্রামবাসীরা। প্রাণি চিকিতসকেরা জানান, গরম না পড়া পর্যন্ত বাচচা কুকুরেরা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকদের ভাষায় এই রোগ পার্ভো এবং ডিসটেম্পার নামে পরিচিত। চিকিৎসক সৌরভ কুমার জানান, দু’বছর পর্যন্ত কুকুরদের এজন্য একটি ইঞ্জেকশন ও তারপরে একটা বুস্টার ডোজ দিতে হয়। বড়দের ক্ষেত্রে একটি ইঞ্জেকশনে কাজ আসে। কুকুর প্রথমে খাওয়া বন্ধ করবে। ঝিমুবে। তারপরে মারা যাবে। সিউড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হ্যান্ডস উইথ লাভ এন্ড কেয়ারের পক্ষে সিরাজুল মনির জানান, এবছর ক্যানাইন ডিসেটেম্পার ও পার্ভো মারাত্মক আকারে কুকুরদের আক্রমণ করছে। পোষ্য কুকুরদের মালিকরা প্রতিষেধক দিয়ে তাদের কিছুটা হলেও বাঁচাতে পারছেন। পথ কুকুররা বেঘোড়ে মারা যাচ্ছে। তাদের দাবি তারা পথ কুকুরদের চিকিতসা করেও সারিয়ে তুলতে পারছেন না। তবে মৃত কুকুরকে ভাইরাস ছড়ানোর হাত থেকে বাঁচাতে অবশ্যই মাটিতে পুঁতে দেওয়া উচিত বলে জানান।