আমগাছের মুকুল আসার আগে থেকেই শুরু হয় খরচ। বর্তমান মাটি বায়ু দূষিত হওয়ার কারণে মূল্যবান বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করতে হয় গাছে মুকুল আসার জন্য। এরপর মুকুল আসলে গাছে মধু লাগা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার হাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ওষুধের ব্যবহার করা হয় তাও অগ্নি মূল্য। আর এই সমস্ত কাজের জন্য দক্ষ শ্রমিক তো পাওয়াই যায়না তাই মোটা টাকা খরচ করে তাদের রাখতে হয় বাগানে। এরপর গাছে আমের গুটি আসলে সেই গুটি ধরে রাখায় নতুন করে চ্যালেঞ্জ থাকে আম চাষিদের মধ্যে। নতুন নামিদামি বিভিন্ন ব্যান্ডের ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু তার মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয় সেই আমের গুটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় আম চাষিদের। আবহাওয়া যদি ঠিক থাকে তাহলে কম ওষুধেও ভাল ফলন হয়। কিন্তু আবহাওয়া যদি প্রতিকূল হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও সঠিক উপকার পাওয়া যায় না। বর্তমানে সেই সমস্যাই ভুগছে আম চাষিরা। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও আমের গুটি টেকাতে পারেনি চাষি। তার কারণ সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: পেটের ছেলে এত নৃশংস! নদিয়ায় বৃদ্ধ দম্পতির উপর যা ঘটল, শুনলে লজ্জা পাবে আপনারও
তার ওপর দুদিন আগে আচমকা ঝড়ো হওয়া সর্বশ্রান্ত করে দিয়ে গেল চাষিদের। গাছের অধিকাংশ আম মাটিতেই পড়ে রইল। কোথাও আবার গাছের ডাল কিংবা গোটা আমগাছটাই ভেঙে পড়ল। তারা জানাচ্ছেন, এই সময়ে ৩০-৪০ টাকা কাঁচা আম গাছ থেকে ভেঙে বিক্রি করে থাকেন তারা। কিন্তু ঝড়ে পড়া আমের চাহিদা থাকে না কারণে, একই সঙ্গে হঠাৎ করে প্রচুর বাগান থেকে কুইন্টাল কুইন্টাল আম আমদানি হয় আড়তগুলোতে মাত্র ৫-১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেক্ষেত্রে পরিবহন খরচ বাদ দিলে আর কিছুই থাকে না, তাই বাধ্য হয়েই জমি থেকে তিন চার টাকা কেজিতেই বিক্রি করে দিতে হয়। এ বছর গত বছরে তুলনায় আমের ফলন একটু বেশি ছিল। তার উপর ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ গতকাল ঝড়ে পড়ে গেছে, আবারও ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আম পাকা পর্যন্ত গাছে কতগুলো আম থাকবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তা তাদের। তবে প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদিয়ার শান্তিপুর, চাপড়া, কৃষ্ণগঞ্জ থেকে শুরু করে একাধিক আম চাষিদের এখন চিন্তার ভাঁজ এই আবহাওয়া কারণে।
Mainak Debnath





