প্রসঙ্গত ভুয়ো ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে দেওয়ার অভিযোগে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় নির্বাচনের কাজে যুক্ত কয়েক জন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার জন্য গতকালই মুখ্যসচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন৷ শুধু তাই নয়, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়েরের জন্যও রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷
এ দিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশ মেনে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না রাজ্য সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রীর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘সরকারি কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে৷ আমার অফিসারদের নোটিশ পাঠিয়েছে, বলছে সাসপেন্ড করতে। আমি কোনও ব্যবস্থা নিতে দেব না। তুমি অফিসার, পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছো। কেউ ভয় পাবেন না, আপনাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের৷ প্রাণ দিয়ে হলেও আপনাদের রক্ষা করব৷’
advertisement
নির্বাচন ঘোষণা না হলেও কী করে নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে এই ধরনের নির্দেশ দিচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও নির্বাচনের সাত-আট মাস দেরি আছে৷ এখন থেকেই সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে৷ বিজেপি-র ক্রীতদাস সব৷’
এ দিনও ফের একবার ভোটার লিস্ট সংশোধনের নামে রাজ্যে এনআরসি চালু করার চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোটার লিস্টের নামে বিজেপি-র পার্টির লিস্ট তৈরি করবে৷ একজন ভোটারের নামও যেন বাদ না যায়৷’ বিজেপি-র বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতারণা করে তো জিতে এসেছো৷ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওনি৷ হঠাৎ করে ২০ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে দিয়েছিলে৷’