মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে বীরেশ পল্লিতে মা ও মেয়ে পিসি শাশুড়িকে ট্রলি ব্যাগে গঙ্গায় ফেলার আগেই এলাকার মানুষের হাতে ধরা পড়ে। পিসি শাশুড়িকে খুনের ঘটনায় ফাল্গুনী এবং আরতিকে নিয়ে এসে পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। দুজনেই মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ভ্যানে ওঠা, পুকুরে বঁটি ফেলা, দোলতলা থেকে ট্যাক্সি ধরে যাওয়া, সবটাই দেখান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২ টাকা খরচ! ১ মিনিটের টোটকায় ঝাঁ চকচকে রান্নাঘর, বাথরুমের জলের কল…! রুপোর মতো চমকাবে দিনের পর দিন
মা ও মেয়ে পিসি শাশুড়িকে খুন করার পর বাড়ি থেকে অস্ত্র কীভাবে পুকুরে ফেলেছিলেন আরতি, তাও পুণরায় দেখান। তারপর বীরেশ পল্লির মোড় থেকে প্রথমে ভ্যান ডেকে দোলতলা মোড় এবং তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে কুমোরটুলি ঘাটের উদ্দেশ্যে কীভাবে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছল মা ও মেয়ে, তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
ভ্যানচালক জানান, সেদিন ভোরে ১৩০ টাকার বিনিময়ে তিনি বীরেশ পল্লি থেকে দোলতলা মোড়ে এসেছিলেন ৭০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু মহিলা বলেছিলেন ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ৬০০ টাকা ভাড়ায় তিনি কলকাতা কুমারটুলি ঘাটে যান। সবটাই আরতী ফাল্গুনী তদন্তকারীদের পুনরায় করে দেখান। ট্রলি-কাণ্ডে পুকুর থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র।
মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রামে সুমিতা ঘোষের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষদের বাড়ির কাছে এক পুকুর থেকে ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি হাতুড়ি এবং দা, যা খুনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এদিন সকাল থেকে ধৃতদের বাড়ির কাছে একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয় সঙ্গে পাওয়া যায় একটি রক্তমাখা বিছানার চাদরও। পাশাপাশি, তল্লাশি করে ওই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে হাতুড়ি আর দা-ও।