কুলটির লচিপুর গেট এলাকা, সেখানেই বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের লটারি। যদিও এই লটারি রাজ্যে নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু লটারি বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় ভিন রাজ্যের এই লটারি বিক্রি করছেন। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে চলে আসায় নিষিদ্ধ লটারি লুকিয়ে নিয়েছেন বিক্রেতারা। একইভাবে প্রশাসনকেও ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা চলে। এমনকি কারা ভিন রাজ্যের এই লটারিকে ওই সমস্ত ছোট বিক্রেতাদের সাপ্লাই করেন, সে সম্পর্কেও মুখ খুলতে চাননি কেউ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বর্ষায় ঘরময় ভনভন করছে মাছি? ৫ একেবারে সহজ উপায়ে বাড়ির ত্রি-সীমানায় আসবে না, ১ মিনিটে মিলবে মুক্তি
কিন্তু এই অসাধু ব্যবসায়ীদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। রাজ্যে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে এই লটারি কেটে গ্রাহকরা প্রতারিত হতে পারেন যখন তখন। এমন অভিযোগ অতীতে উঠেছে। তাছাড়াও এই নিষিদ্ধ লটারি বিক্রি হওয়ার ফলে রাজ্যের রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে। সরকারি কোষাগারে জমা পড়ছে না টাকা। কিন্তু বিক্রেতারা সেইসব না ভেবে শুধুমাত্র নিজেদের লাভের স্বার্থে এই নিষিদ্ধ লটারি রমরম করে বিক্রি করে চলেছেন সীমান্ত এলাকায়।
উল্লেখ্য, আসানসোলের কুলটি, লচিপুর এলাকা পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড সংলগ্ন। ফলে এই জায়গাতেই নিষিদ্ধ লটারির রমরমা বেশি, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন অনেকে। নিষিদ্ধ জেনেও বিক্রেতারা এই লটারি তুলে দিচ্ছেন গ্রাহকদের হাতে। বিক্রেতাদের সাফাই, সরকার স্বীকৃত লটারি বিক্রি করে যেখানে ২০০-৩০০ টাকা লাভ হয় না, সেখানে এই লটারি বিক্রি করে ৫০০-৬০০ টাকা অনায়াসে লাভ করা যায়। তাই এই লটারি তারা বিক্রি চলছে।
নয়ন ঘোষ