আরও পড়ুন: বাঁচতে শেষে নদী পুজো, যোগ দিলেন বনকর্মীরাও
আউশগ্রাম পূর্ব বর্ধমান জেলার ‘জঙ্গলমহল’ নামে পরিচিত। শাল-পেয়াল সহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে ঘেরা এই আউশগ্রাম। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই আউশগ্রাম জুড়ে বসবাস করেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। এটি পর্যটকদের জন্যও একটি বিশেষ ক্ষেত্র।
এখানে জঙ্গলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রিসর্ট। বছরের প্রায় সব সময়ই বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে আউশগ্রামে। এছাড়াও আউশগ্রামেরই একটি অন্যতম জায়গা হল কালিকাপুর রাজবাড়ি। এই রাজবাড়িও অবস্থিত একদম জঙ্গলের মধ্যে। এটি একটি জনপ্রিয় শুটিং স্পট হয়ে উঠেছে। এই জঙ্গলে রয়েছে বহু বন্যপ্রাণী। যার মধ্যে আছে ময়ূর, খরগোশ, নেকড়ে সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ময়ূর দেখার জন্য ভিড় করে বহু পর্যটক। বিভিন্ন মানুষ জ্বালানির জন্য পাতা সংগ্রহ করতে জঙ্গলে যায়। আবার ভ্রমণের জন্যও বহু মানুষ জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেন। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা ইচ্ছকৃতভাবে জঙ্গলের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেন। স্বভাবতই আগুন লাগার কারণে পুড়ে যায় বহু গাছ। পাশাপাশি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীও মারা যায়। এই বিষয়টি জানতে পারেন ছোঁড়া ফাঁড়ির বড়বাবু ত্রিদিব রাজ।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরবর্তীতে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আদুরিয়া বিটের বিট অফিসার তাপস মাহাতর সঙ্গে আলোচনা করেন। ঠিক হয় কেউ যাতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন না লাগায় তার জন্য এলাকার গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘুরে বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হবে। এরপরও কেউ জঙ্গলের আগুন লাগালে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন। জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতে এই দুই সরকারি আধিকারিক যে ভূমিকা নিয়েছেন তার প্রশংসা করছেন সকলে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী