কমলাকান্তর গানে মজেছিলেন বর্ধমানের মহারাজা তেজচাঁদ। কালীভক্ত মানুষটিকে রাজসভায় জায়গাও দিয়েছিলেন তিনি। বারোশো ষোলো বঙ্গাব্দে সেই সভাপণ্ডিতের জন্যই কালীমন্দির গড়ে দেন মহারাজা। ইতিহাস আর মিথ এখানে মিলেমিশে যায়।
কমলাকান্ত ট্রাস্টি বোর্ডর কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত কোনারের ভাষায়, '' অমাবস্যায় মহারাজাকে পূর্ণিমার চাঁদ দেখিয়েছিলেন কমলাকান্ত। মাতৃমূর্তির পায়ে বেলকাঁটা ফুঁটিয়ে রক্ত বের করেছিলেন। মৃত্যুর সময় মহারাজ কমলাকান্তকে গঙ্গায় নিয়ে যেতে চান। তিনি যাননি। গান গাইতে গাইতে জীবনত্যাগ করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে গঙ্গাজল। পরে সেই জায়গায় কুয়ো তৈরি করা হয়।’''
advertisement
ভক্তদের কাছে মন্দিরের বাঁধানো কুয়োর এই জল গঙ্গার মতোই পবিত্র। কমলাকান্তের প্রতিষ্ঠিত কালভৈরব ও পঞ্চমুণ্ডীর আসন আজও অক্ষত এখানে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় শুরু হয় তিনদিনের উৎসব। প্রথা মেনে কালীপুজোর পর দেওয়া হয় অন্নভোগ। গান, কবিতা আর পদাবলীতে স্মরণ করা হয় সাধক কমলাকান্তকে।
ক্যামেরায় সন্দীপ পালের সঙ্গে শরদিন্দু ঘোষ
আরও পড়ুন-কনস্টেবল পরীক্ষায় নকল কাণ্ডে জড়িত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী, গ্রেফতার করল সিআইডি