জেলার মুখ্য কালীক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার প্রাচীন পুরশহর সোনামুখী। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে প্রায় আড়াইশো কালীপুজো হয়। এখানকার প্রাচীন কালীপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ‘সার্ভিস কালী’। প্রায় ৮৫ বছরের পুজো। তবে এই নাম কিভাবে আসে? কমিটির এক সদস্য জানান, জানা যায় কোনও এক ব্যক্তি বাসের লাইসেন্স করানোর জন্য হন্যে হয়ে উঠেছিলেন। তারপর মায়ের কাছে মানত করতেই সেই কাজ হয়ে যায়। তখন থেকে নাম ‘সার্ভিস কালী’।
advertisement
১৯৪০ সালের কাছাকাছি সময়ে সোনামুখী শহরের ধর্মতলায় কালীপুজো করতেন এলাকার কিছু যুবক।
এলাকায় জনপ্রিয় জনশ্রুতি, বেকারত্বের জ্বালায় জর্জরিত হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। এরপর কালীমায়ের কাছে মানত করার পর চাকরি হয় তাঁদের। ঠিক হয় মায়ের পুজো ধুমধাম করে পালন করবেন। তার পর থেকেই সোনামুখী শহরের ধর্মতলাতে ধুমধাম করে কালীপুজো করে আসছেন ওই যুবকরা। সেই থেকেই এবং কালীপুজোর নাম দেওয়া হয় “সার্ভিস কালী।”
আরও পড়ুন : ভাগীরথীর তীরে ৩০০ বছরের প্রাচীন এই কালীমন্দিরে কার্তিক অমাবস্যায় মহা সমারোহে বসে পুজোর আসর
কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস আছে বলেই দূরদূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী আসেন সোনামুখী শহরের সার্ভিস কালীমায়ের কাছে। একটা চাকরি এবং একটা সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় তারা মানত করেন। তারপর তাদের কঠিন পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় সেই চাকরি পেতে সাহায্য করে। মায়ের প্রতি তৈরি হয় অগাধ বিশ্বাস।