মৃতার বাবা বলেন, ‘আমরা কোনও অভিযোগ করিনি, যা করার পুলিশ করবে, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আমি বলতে পারব না কীভাবে হল! আমি কি স্পটে ছিলাম?’ এদিন জল থেকে উদ্ধার করা হলেও এখনও স্পষ্ট নয় কীভাবে জলে পড়ে গেলেন ওই পড়ুয়া। জলে পড়ার আগেই কি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী? ঝিলের একদম ধারে সংজ্ঞাহীন হওয়ার কারণেই কি জলে পড়ে গেলেন? জলে ডুবে মারা গেলেন নাকি সংজ্ঞাহীন হওয়ার সময় মারা গিয়ে দেহ জলে পড়ে গিয়েছিল? ময়না তদন্তের পরই কী কারণে মৃত্যু তা স্পষ্ট হবে।
advertisement
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর ঝিলপাড় থেকে উদ্ধার হয় ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ক্যাম্পাসেরই ঝিলপাড় থেকে৷ কীভাবে ঘটনা ঘটল পুলিশের কাছেই স্পষ্ট নয় এখনও৷ মৃতার বিশেষ বন্ধু সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমার ভালবাসায় নিশ্চয়ই কোন খামতি ছিল। আমার পূর্বজন্মের নিশ্চয়ই ছিল কোন পাপ। তাই শুধু আমাকে না, সকলকে ছেড়ে চলে গেলি। আর কোনো কথা নেই। রাগ নেই। হেসেও উঠবি না আর। আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যেতে পারতিস মিষ্টু’। ফোনে ওই বন্ধু জানা, ‘যা হবে আইনিপথে হবে। কাল কোনও কথা হয়নি ওর সঙ্গে৷ নেশাগ্রস্ত ছিল কি না জানি না। আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করব না।’
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে অশান্ত নেপাল, সান্দাকফু যাওয়ার প্ল্যান? হোটেল, হোমস্টে বুক করেছেন? দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চার নম্বর গেটের কাছে গৌর দাস বাউল ও তাঁর দলকে নিয়ে ‘ড্রামা ক্লাব’ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। অনুষ্ঠান চলাকালীন রাত ১০ঃ২০ নাগাদ কারও নজরে পড়ে কলা বিভাগের ছাত্র ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে কেউ ভাসছেন। অচৈতন্য অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিষয়ের স্নাতক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। পুকুর থেকে উদ্ধারের পরে পড়ুয়ারা বেশ কিছুক্ষণ সিপিআর ও জল বার করার চেষ্টা করেন। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় কেপিসি হাসপাতাল।