বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়নন বলেন, মহাকাশ প্রযুক্তিকে মানবকল্যাণে ব্যবহারের বিষয়ে তাঁদের সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর দিশা নির্দেশ অনুযায়ী এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মহাকাশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সামিল করা হচ্ছে। মহাকাশ ক্ষেত্রে বানিজ্যিক বাজারের দুই শতাংশ এখন ইসরোর আওতায় রয়েছে। এই অনুপাতকে ৮ থেকে ১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ইসরোর। ইসরোর ৫৫ টি মহাকাশযান এখন কক্ষপথে রয়েছে। এই সংখ্যা দু-তিন বছরের মধ্যে তিনগুণ বাড়ানো হবে। মহাকাশযান উৎক্ষেপণে দেশীয় প্রযুক্তির আরও বেশী ব্যবহার ইসরোর লক্ষ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: থাকা, খাওয়া, ঘোরার চিন্তা শেষ! এবার সহজেই হবে পাহাড় ভ্রমণ, পর্যটকদের সাহায্যে হাজির KRHTDA
এছাড়াও মহাকাশে হিউম্যানওয়েড পাঠাবে ইসরো। ২০২৭ সাল নাগাদ ইসরো মানব মহাকাশ যান পাঠাবে। ২০৩৫ সাল নাগাদ গড়ে তোলা হবে ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন। চন্দ্রযান-৪ এর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এই অভিযানের মাধ্যমে চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা হবে পৃথিবীতে। চন্দ্রযান-৫ এর রুপায়নে জাপানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ চলবে। এরপর রূপায়িত হবে চন্দ্রযান অভিযানের পরবর্তী পর্বগুলিও। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁকে সাম্মানিক ডিএসসি প্রদান করায় তিনি গর্বিত বলেও জানান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব বর্ধমানের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন সার্ভেয়ার জেনারেল ড: পৃথ্বীশ নাগ। দীক্ষান্ত ভাষণে তিনি নতুন শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাকথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সমাজে, চিন্তা, চেতনা এবং ঐক্যের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য তিনি ছাত্রসমাজকে আহ্বান জানান। উপাচার্য ড: শঙ্কর কুমার নাথ তাঁর ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন।
এদিন বিজ্ঞান ও গবেষণার এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ইসরোর চেয়ারম্যান ড: ভি নারায়নন, প্রফেসর পদ্মনাভন বলরাম, চিকিৎসক ডা: দেবী শেঠি এবং চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিএসসি সম্মান প্রদান করা হয়।সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৪১২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ মান প্রাপক এবং স্নাতকস্তরে সর্বোচ্চ মান প্রাপকদের সম্মানিত করা হয়।