৬৪ জন টিকিট চেকিং কর্মী, ১৫ জন বাণিজ্যিক পরিদর্শক এবং ৪ জন আরপিএফ কর্মী নিয়ে গঠিত একটি দল এই অভিযানটি চালায়।
শেওড়াফুলি স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জংশন। এখান থেকে ব্যান্ডেল হয়ে বর্ধমান, কাটোয়া যেমন যাওয়া যায়, তেমনি মালদহ, বীরভূম, আসানসোল-দূর্গাপুর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এখানে থামে। আবার এই জংশন স্টেশন থেকেই যাওয়া যায় তারকেশ্বর, আরামবাগ, গোঘাট এর মতো স্টেশনে। ফলে সারাক্ষণ যাত্রীদের আনাগোনা লেগেই থাকে শেওড়াফুলিতে।
advertisement
বিশেষ অভিযানের সময়, কর্মকর্তারা মোট ১০৪৬টি টিকিট এবং আচরণগত অনিয়মের ঘটনা শনাক্ত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭৪৮টি টিকিট ছাড়া ভ্রমণের ঘটনা, ২২৭টি বুকিং না করা লাগেজ সম্পর্কিত ঘটনা এবং ৭১টি স্টেশন প্রাঙ্গণ এবং ট্রেনের মধ্যে আবর্জনা ফেলার ঘটনা রয়েছে। রেলওয়ের নিয়ম অনুসারে জরিমানা আরোপ করা হয়েছিল, যার ফলে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর আগেও হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু করে হাওড়া রেল বিভাগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে টিকিট চেকিং অভিযান চালিয়েছে রেল। একাধিক বিনা টিকিটের যাত্রীদের পাকড়াও করে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। রেলের একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন, বারবার টিকিট কাটার আবেদন জানিয়ে ক্যাম্প করা হয়। ভাড়া ফাঁকি রোধ করতে এবং দায়িত্বশীল ভ্রমণ অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য নিয়মিত তল্লাশি চালানো হবে।
