দলমার দামালদের দাপাদাপিতে জেরবার ঝাড়গ্রাম। গত দু'মাসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে লালগড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দলমা থেকে যতগুলি হাতি এলাকায় ঢুকছে, তাদের সবকটি ফিরছে না। ফলে ঝাড়গ্রামে হাতির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাতির হামলায় নষ্ট হচ্ছে ফসল, ভাঙছে বাড়ি। প্রাণ যাচ্ছে দু-পক্ষেরই। হুলাপার্টি নামিয়েও তাড়ানো যাচ্ছে না হাতিদের। এবার দলমার দাঁতালদের লোকেসন ট্র্যাক করতে লালগড়ে নামানো হল তিনটি কুনকি হাতি।
advertisement
কুনকি হাতির পিঠে করে জঙ্গলে নজরদারি চালাবেন ঘুমপাড়ানি গুলি বিশেষজ্ঞরা। দলমার হাতি আসার আভাস পেলে খুঁজে বের করা হবে তাদের। দু-একটি দাঁতালকে লক্ষ করে ছোড়া হবে ঘুমপাড়ানি গুলি । তারপর ঘুমন্ত দাঁতালের শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হবে রেডিওকলার।
হুঁশ এলে, দলে ফিরে গেলেও, দলমার দামালদের গতিবিধি থাকবে বন দফতরের নজরে। হাতিদের মুভমেন্ট জেনে জঙ্গল লাগোয়া মানুষদের ঠিক সময়ে সতর্ক করা সহজ হবে।
ঝাড়গ্রামে দলমার হাতির আনাগোনা শুরু হয় সাতের দশকে। ধানের মরশুমে দু-দফায় দলমা থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে ওড়িশা পর্যন্ত যেত হাতির দল। মাস খানেক পর দলমায় ফিরে যেত একই পথ ধরে। কিন্তু, ছবিটা বদলাতে শুরু করে ২০১০,১১ নাগাদ। হাতি আটকাতে রাজ্যের সীমানায় খাল কাটে ওড়িশা সরকার। অন্যদিকে, দলমাতেও জঙ্গল কেটে বাড়তে থাকে বসতি। এই দুইয়ের চাপে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলেই পাকাপাকি ঘাঁটি গাড়তে শুরু করে দলমার হাতি
নয়াগ্রাম থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে মানিকপাড়া। সেখান থেকে নদী পেরিয়ে লালগড় । তারপর শালবনির উপর দিয়ে হয়ে বাঁকুড়া হয়ে ঝাড়খণ্ড। দলমার দাঁতালদের এই গতিপথে পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করছে বন দফতর।
আরও পড়ুন-প্রবল জলোচ্ছ্বাসে মাঝ সমুদ্রে আটকে কয়েক হাজার ট্রলার