সোমবার বর্ধমান আদালতে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে সে। আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ২৩জুন তাকে ফের আদালতে হাজির করতে বলেছে আদালত। সোমবার মধ্যরাতে হুমায়ুনকে সঙ্গে নিয়ে বাবা মা খুনের পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিকনস্ট্রাকশনের সময়ে বাড়িতে গিয়েও হুমায়ুন ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বাবা মাকে খুন করার জন্য বিন্দুমাত্র অনুতাপ দেখা যায়নি তার মধ্যে। তার বক্তব্য, বাবা মা দোষ করেছিল। তাই তাদের খুন করেছি। তাঁরা যে শাস্তি পেয়েছেন তা সবাইকে দেখাতেই ঘর থেকে তাঁদের মৃতদেহ রাস্তায় নিয়ে গিয়েছিল হুমায়ুন।
advertisement
খুনে ছুরি ছাড়াও সূচালো একটি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল সে। ওই ছুরি নিয়েই সে বনগাঁ চলে গিয়েছিল। সেখানের একটি এতিমখানায় সেই ছুরি দিয়ে বেশ কয়েক জনের ওপর হামলা চালায় সে। পরে বনগাঁ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ছুরিটি বাজেয়াপ্ত করে। এখন ছুরি ছাড়াও যে সূচালো অস্ত্র হুমায়ুন ব্যবহার করেছিল তার হদিশ পেতে চাইছে মেমারি থানার পুলিশ। মৌনব্রতর কৌশল নিয়ে সে পুলিশের জেরা এড়াতে চাইছে, এমনই মত তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের একাংশের। থানার লক আপে সে বিভিন্ন বই, খাতা পেন, খবরের কাগজ চেয়ে নাজেহাল করে ছেড়েছে। তার ওপর নজরদারির জন্য বারো জন পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
