কিন্তু শুক্রবার রাতে সেই বাড়িতেই হানা দিল এসটিএফ ও কাটোয়া থানার বিশেষ বাহিনী৷ রিসর্টের মতো ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল হেরোইন তৈরির জন্য মজুত করে রাখা কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের উপকরণ বা মরফিন৷ ইতিমধ্যেই বাড়ির মালিক প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী গোলাম মুর্শেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷ এ ছাড়াও হেরোইন তৈরিতে দক্ষ দুই কারিগর নদিয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা আঙুর ও মিনারুল শেখ এবং কাটোয়ারই আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মিঠুন শেখকেও আটক করেছে পুলিশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ডিভোর্সের আগের রাতে স্ত্রীর সঙ্গে এ কী কাণ্ড ঘটালেন স্বামী! নৃশংস ঘটনা, কাঁপছে হাঁসখালি
শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাটোয়ার রজুয়া গ্রামে৷ হেরোইন পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে বাসিন্দা মিনারুল ও আঙুরের খোঁজে শুক্রবার রাতে নদিয়ার কালীগঞ্জে হানা দেয় এসটিএফ৷ কিন্তু সেখানে তােদর কাউকে পাওয়া যায়নি৷ এর পর অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে কাটোয়ার রজুয়া গ্রামে গোলাম মুর্শেদের বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফ ও পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে প্রায় সাত কেজি হেরোইন তৈরির উপকরণ মেলে৷ হেরোইন তৈরির জন্য গোলাম মুর্শেদ আঙুর ও মিনারুলকে বাড়িতে এনে রেখেছিল বলে খবর৷ ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় মিঠুন শেখ নামে এক যুবককেও৷
আরও পড়ুন: স্বামী কেটে নিয়েছিল ডান হাত, সেই রেণুই এবার যোগ দিলেন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
তবে হেরোইন তৈরির উপকরণ মিললেও কোথায় হেরোইন তৈরি করা হত, সেই কারখানার খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ৷ কারখানার খোঁজ পেতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে৷
'রাতে আমরা কিছু জানতে পারিনি৷ পুলিশ কেন গোলাম মুর্শেদকে ধরে নিয়ে গিয়েছে, সেটাও আমরা জানি না৷ গ্রামের ছেলে হিসেবে খুব ভাল ছিল৷ কিন্তু ভিতরে কী করত, তা তো আমরা জানি না৷ এখন শুনছি বাড়িতে হেরোইন তৈরির জিনিস পাওয়া গিয়েছে৷ বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকত৷ আমাদের সবার সঙ্গে মেলামেশাও করত৷ এই ঘটনা শুনে আমরা অবাক৷'