নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের খুশির হাওয়া। আগামী ৩০ জুন থেকে চালু হচ্ছে মশাগ্রাম হয়ে পুরুলিয়া এবং হাওড়ার মধ্যে নতুন মেমু ট্রেন। শনিবার ভার্চুয়ালি ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ইতিমধ্যেই ট্রেনটির সময়সূচি প্রকাশ করেছে পূর্ব রেল। কোন কোন স্টেশনে থামবে ট্রেনটি? সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে । তবে শনিবার হাওড়া-পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জারের (ভায়া মসাগ্রাম) উদ্বোধন হলেও আগামী সোমবার থেকে আপ ৬৮১২১ হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু প্যাসেঞ্জারের নিয়মিত পরিষেবা দেবে। আর আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জারের নিয়মিত চলবে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছ’দিন হাওড়া-পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালানো হবে। আর পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার চলবে না শুধুমাত্র শনিবার। মশাগ্রাম-সহ ৫০টি স্টেশনে দাঁড়াবে পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু ট্রেন।
advertisement
নতুন মেমু লোকাল ট্রেনটি পুরুলিয়া থেকে ছেড়ে ভায়া বাঁকুড়া-মশাগ্রাম হয়ে কর্ড লাইনে উঠবে। তারপর কর্ড লাইন ধরে হাওড়া পৌঁছবে। পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের সংযোগকারী স্টেশনের ভূমিকা পালন করবে মশাগ্রাম স্টেশন। এই ট্রেন চালু হওয়ায় বাঁকুড়ার যাত্রীদের একদিকে যেমন ট্রেন বদল করার আর প্রয়োজন হবে না। মশাগ্রাম থেকে লাইন পার হয়ে অন্য ট্রেন ধরতে হবে না। একটি ট্রেনেই বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে তাঁরা পৌঁছে যাবেন হাওড়ায়।
এই ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় পুরুলিয়া যাওয়াও সহজ হবে। তেমনই ইন্দাস, সোনামুখী-সহ বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। উপকৃত হবেন বর্ধমান কর্ড শাখার যাত্রীরাও। এক ধাক্কায় বাঁকুড়া থেকে হাওড়ার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমে গেল।
স্বাভাবিক ভাবেই নতুন ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। ট্রেন যাত্রী সুদীপ কুমার চন্দ্র, রূপম ঘোষরা বলেন, ‘বহুদিনের দাবি পূরণ হল।যাতায়াতের সময় কমে গেল। এতে আমাদের এলাকার বাসিন্দারা যেমন উপকৃত হবেন তেমনই কলকাতায় যাতায়াতও অনেক সহজ হল।’
বিডিআর যাত্রী ওয়েলফেয়ার সমিতির সম্পাদক সুপ্রকাশ সামন্ত বলেন, ‘আমরা খুশি।আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছি। আজ তার ফল পাওয়া গেল।’