মঙ্গলবার রাত ৭ঃ৫০ নাগাদ কাটোয়া ব্যান্ডেল শাখায় কাটোয়া থেকে রেলের একটি ইন্সপেকশন কার ট্র্যাক চেক করতে করতে ব্যান্ডেল আসছিল। বাঁশবেড়িয়া স্টেশন ছেড়ে ব্যান্ডেল ঢোকার কিছুটা আগে জিটি রোডের উপর এমন ঘটনা ঘটে যে ঘটনার কারণে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। আসলে ওই ইন্সপেকশন কারটি যখন আসছিল ঠিক সেই সময় বাঁশবেড়িয়া ছেড়ে ব্যান্ডেল ঢোকার মুখে জিটি রোডের উপর থাকা রেলগেটে মোষের সঙ্গে দুর্ঘটনা বাঁধে ওই ইন্সপেকশন কারটির। যে দুর্ঘটনায় পাঁচটি মোষের মৃত্যু হয়। তিনটি মোষ ট্রেনের তলায় ঢুকে যায় এবং দুটি মোষ ইঞ্জিনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
advertisement
জানা যাচ্ছে, মোষের রং কালো হওয়ার ফলে ওই ইন্সপেকশন কারের চালক রেললাইনের উপর মোষ রয়েছে তা বুঝতে পারেননি। তিনি যখন বুঝতে পারেন তখন ইমার্জেন্সি ব্রেক করেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে প্রচন্ড শব্দে মোষগুলিকে ধাক্কা মারার পর ট্রেন থেমে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রেলের আধিকারিক রাজেশ পাসোয়ান জানিয়েছেন, গ্রিন সিগন্যাল থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত গতিতেই ওই রেলগেট পার করছিল ট্রেনটি। গতিবেগ তার ঠিকঠাক জানা না থাকলেও অন্ততপক্ষে ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগ তো ছিলই। আর এমন পরিস্থিতিতে চালক যখন বুঝতে পারেন তখন ব্রেক কষলেও অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত থাকে কাটোয়া ব্যান্ডেল শাখায়। পরবর্তীতে রেলের কর্মীরা এসে ওই মোষগুলিকে ট্রেনের তলা থেকে বের করে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি, এইভাবে মোষ ছেড়ে দেওয়া উচিত হয়নি। মোষগুলি কাদের তা জানা যায়নি। সাধারণ যাত্রীদের দাবি, যাদের মোষ তারা তো আর এখন ভয়ে সামনে আসবেন না।
