TRENDING:

Success Story: নবগ্রাম থেকে নাসা! মহাকাশবিজ্ঞানী হয়ে বিশ্বজয় হুগলির কোন্নগরের সরকারি স্কুলের প্রাক্তনীর

Last Updated:

Success Story:সরকারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানের শীর্ষ স্থানে কর্মরত তিনি। শুধু কর্মরতই নয় বরং একাধিক পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী তথা ভারতের গর্ব ডক্টর গৌতম চট্টোপাধ্যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রাহী হালদার, হুগলি: ছোট ঘর থেকে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন যারা দেখেন তাঁদের কাছে বাস্তব উদাহরণ নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায়। যদিও আকাশ নয় বরং মহাকাশ! নাসার মহাকাশ গবেষণার অন্যতম একজন হলেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা গৌতম চট্টোপাধ্যায়। সরকারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানের শীর্ষ স্থানে কর্মরত তিনি। শুধু কর্মরতই নয় বরং একাধিক পুরস্কার প্রাপ্ত বিজ্ঞানী তথা ভারতের গর্ব ডক্টর গৌতম চট্টোপাধ্যায়।
advertisement

কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা গৌতমবাবু ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠ থেকে স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে শিবপুর বিই কলেজে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন। তার পর সেখান থেকে আমেরিকার পাড়ি দেন ডক্টরেট করতে। শেষ ১৪ বছর ধরে তিনি কর্মতর ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসা-য়।

নাসা প্রতিবছর মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকে। সেই মতো ২০২৩ সালে তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে পিপলস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে তাঁকে সম্মানিত করেছে নাসা। ছোট থেকেই অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়ে ওঠেন গৌতমবাবু। তবে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী হওয়ার পরও একফোঁটা বদলায়নি তাঁর জীবনযাপন। এখনও বাড়িতে এলে পাড়ার বন্ধুর দোকানেই আড্ডা দিতে দেখা যায় তাঁকে। বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। শুধুমাত্র বাঙালি বিজ্ঞানী হিসাবে নয়, গৌতম চট্টোপাধ্যায় সমগ্র বিজ্ঞানের জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ইতিমধ্যে তিনি একটি যন্ত্র বানিয়েছেন যা জলের বর্ণ নির্ণয় করতে পারে। যার ফলে অন্য কোনও গ্রহে জল আছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে তাঁর যন্ত্রটি। এর মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বাইরে আর কোনও গ্রহে প্রাণের সঞ্চার রয়েছে, সেই সমস্ত নানা তথ্য জানা যাবে তারই আবিষ্কারের মধ্যে দিয়ে।

advertisement

আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস থাকলে কি সাবুদানা খাওয়া যায়? সাবুমাখা খেলে চড়চড়িয়ে বাড়বে ব্লাড সুগার? কীভাবে সাবু খাওয়া উপকারী? জানুন

সম্প্রতি দিন কয়েক আগেই তিনি ফিরেছেন নিজের বাড়ি হুগলির কোন্নগরে। বাইরে থাকলেও তাঁর মন সারা ক্ষণ পড়ে থাকে বাড়ির জন্য। ছুটি পেলেই তিনি সোজা চলে আসেন নিজের বাড়িতে, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। এত বিশ্ববরেণ্য একজন মানুষ হবার পরেও একদম সাদামাটা তাঁর জীবনযাপন। এরকম একজন মানুষ সত্যিই নজির সেই সমস্ত মানুষদের কাছে, যাঁরা বড় স্বপ্ন দেখার সাহস করেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আতঙ্কের রাত শেষ হওয়ার আগেই এল 'মহা'প্লাবন! বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল সব
আরও দেখুন

নাসায় কর্মরত বঙ্গসন্তান ডঃ গৌতম চট্টোপাধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র একজন ভিজিটিং প্রফেসর। এর আগে খড়গপুর ও বেঙ্গালুরু আইআইটিতে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। নাসা-র একাধিক মিশন যেমন অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, প্ল্যানেটরি সায়েন্স এবং আর্থ অবজার্ভেশনস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Success Story: নবগ্রাম থেকে নাসা! মহাকাশবিজ্ঞানী হয়ে বিশ্বজয় হুগলির কোন্নগরের সরকারি স্কুলের প্রাক্তনীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল