থোর, মোচা, কলা এই উপকরণের বিভিন্ন পদ নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে।এই সব পদ রান্না করতে হয় গঙ্গাজল দিয়েই। ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা জানালেন, এই পরিবারের পূর্ব পুরুষ দিগম্বর ঘোষাল ছিলেন শের শাহর বিশ্বস্ত কর্মচারী। ১৫৪০ খ্রীস্টাব্দে জিটি রোড নির্মাণের সময় শের শাহ তাঁকে কাজের দেখভাল করার জন্য এখানে পাঠিয়েছিলেন। সেই থেকে ঘোষাল পরিবার কোলসরায় বসবাস শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর আগে স্বস্তির খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে অনেকটাই
আরও পড়ুন: ধোলাই আর কাকে বলে! মদের নেশায় চুর যুবককে জুতো খুলে বেদম মার তরুণীর, ভাইরাল ভিডিও
এই পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্য সমীর ঘোষাল জানান, দিগম্বরের বংশধর ঈশ্বরচন্দ্র ঘোষাল স্বপ্নাদেশ পেয়ে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন।পরিবারের বিশ্বাস, কলাবাগানে যে বালিকার দর্শন পেয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র, তিনি মা দুর্গাই। এমনটাই কথিত আছে৷ তাই কলাবাগানে দেবীর দর্শন হওয়ায় ভোগে কলা, থোর ও মোচার বিভিন্ন পদ দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেই রীতি এখনও বজায় রেখেছেন বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা। এই পরিবারের প্রতিমা সাবেকি ধাঁচের। জন্মাষ্টমীতে দেবীর কাঠামোয় মাটি দান করার রীতি রয়েছে। পুজোর আগে বড় বড় পাত্র করে গঙ্গার থেকে জল নিয়ে আসা হয়৷ সেই জলে প্রতিদিনের পুজোর ভোগ রান্না হয়। পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণে এই পুজো সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
